মোদী-জমানায় মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপ থেকে রেহাই নেই দেশবাসীর। বারবার আগুন-দামে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সম্প্রতি দেশজুড়ে সবজির দর নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। ১০ দিন আগেও যে সবজি ৩০ টাকা কেজি বিকিয়েছে, সপ্তাহ শেষে সেই সবজির দাম ১০০ ছুঁইছুঁই! এমতাবস্থায় আমজনতার দুশ্চিন্তা লাঘব করতে বড় পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গতকাল, অর্থাৎ শনিবার থেকেই ‘সুফল বাংলা’ স্টলে বাজারের তুলনায় কম দামে বেগুন, পটল, ঢ্যাঁড়সের মতো সবজি বিক্রি করতে শুরু করল নবান্ন। যার জেরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের।
প্রসঙ্গত, শনিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল টাস্ক ফোর্স। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এবার বর্ষা দেরিতে ঢুকেশে দেশের মূল ভূখণ্ডে। ফলে তুলনামূলক সবজি চাষ কম হয়েছে। কর্ণাটকের মতো একাধিক রাজ্য থেকে উপযুক্ত পরিমাণ সবজি জোগানে সমস্যা ছিল। আবার সম্প্রতি কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টির ফলে পণ্য পরিবহণ ধাক্কা খেয়েছে। এই দুই কারণে বাজারে সবজির জোগানে টান পড়েছে। তালমিলিয়ে চড়েছে সবজির দামও। কয়েকদিনের মধ্যে এই জোগানের সমস্যা মিটবে বলেই আশাবাদী টাস্ক ফোর্স। কমবে দামও। তবে তার আগে কেউ যদি কালোবাজারির চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, সুফল বাংলার স্টলে বাজারের তুলনায় কম দামে বিক্রি হবে বেশকিছু সবজি। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, খোলা বাজারের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কম দামে সবজি বিক্রি হবে সুফল বাংলায়। যার অর্থ সবজির প্রতি কেজিতে অন্তত ৫ টাকা কম। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাজারের সবজির দাম অনেকটা কমবে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কোন কোন সবজি কী কী দামে পাওয়া যাবে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে :
১) টমেটো প্রতি কেজি ৮৯ টাকা। খোলা বাজারে দাম ৯৯ টাকা/কেজি।
২) করলা প্রতি কেজি ৬৫ টাকা। খোলা বাজারে দাম ৭৮ টাকা/কেজি।
৩) পটল প্রতি কেজি ২৩ টাকা। খোলা বাজারে দাম ২৮ টাকা/কেজি।
৪) বেগুন প্রতি কেজি ৭০ টাকা। খোলা বাজারে দাম ৮০ টাকা/কেজি।
৫) ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৪৫ টাকা। খোলা বাজারের দাম ৬০ টাকা /কেজি।