পঞ্চায়েত ভোটে মহিলা ভোটারদের নিজেদের পক্ষে আরও বেশি করে টানতে এবার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের প্রার্থীরা মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন। সেই প্রচারের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন থাকছেন তেমনই থাকছেন দেবী লক্ষ্মী ও লক্ষ্মীর ভাঁড়। প্রচারে সামিল তৃণমূলের প্রার্থীরা দাবি করছেন, একা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পই পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীদের বলে বলে ১০ গোল দেবে।
তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করেন। সেই থেকে তফসিলি জাতি এবং উপজাতি পরিবারের মহিলারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে ১ হাজার টাকা এবং সাধারণ মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘গোটা রাজ্যে ২ কোটি ১২ লক্ষ মহিলা এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন। সংখ্যাটা দিন দিন আরও বাড়ছে’।
রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, পূর্ব বর্ধমানে ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৫ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপভোক্তা রয়েছেন। এবার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সব শ্রেণীর মহিলাদের জন্য আরও ২৫০ টাকা করে বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা সরকার নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। শাসক দলের নেতৃত্বের দাবি, মহিলা মহলে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জনপ্রিয়তা বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে।
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প যে গ্রামের মহিলাদের একটি বড় অংশের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে তা বুঝতে সমস্যা হয়নি তৃণমূল নেতৃত্বের। তাই পঞ্চায়েত ভোটে মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের পক্ষে আরও বেশি করে টানতে রাজ্যের এই জনপ্রিয় প্রকল্পকেই ডাল করছেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের রায়না ও জামালপুরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের প্রার্থীদের অভিনব প্রচার দেখা গিয়েছে।