পড়ুয়াদের মধ্য থেকে উপাচার্য (স্টুডেন্ট ভাইস চ্যান্সেলর) পেতে চলেছে এ রাজ্য। দেশে প্রথম। শুক্রবার সকালে কালিম্পং কলেজে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে এমনই দাবি করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
তাঁর কথায়, ‘এ বার বাংলা এক জন পড়ুয়া-উপাচার্য পাবে। উজ্জ্বল এবং সেরা পড়ুয়া। তিনি হয়তো গবেষণা করছেন। তবে অতি সত্বর উপাচার্য হবেন। ভারতে প্রথম।’ রাজভবনের তরফ থেকে পরে দাবি করা হয়, সেই সব উজ্জ্বল পডুয়া যাঁরা স্নাতকোত্তরে খুব ভাল করেছেন, পড়াশোনা এবং গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্য থেকে অন্তর্বর্তী (ইন্টারিম) উপাচার্য করা হতে পারে।
যদিও ‘পড়ুয়া-উপাচার্য’ এবং পড়ুয়াদের মধ্য থেকে ‘অন্তর্বর্তী উপাচার্য’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে শিক্ষা জগতের অনেকে। বেধেছে বিতর্ক।
রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘কে, কোথায়, কী বলেছেন সে সম্পর্কে আমার কাছে এখনও নির্দিষ্ট খবর নেই। তবে পড়ুয়াদের উপাচার্য করার ভাবনা প্রসঙ্গে এটুকুই বলার যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) উপাচার্য পদে নিয়োগের মাপকাঠি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তাতে বলা আছে, যিনি উপাচার্য হবেন, তাঁর অন্তত দশ বছর অধ্যাপক (প্রফেসর) পদে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যিনি দশ বছর অধ্যাপক পদে থাকবেন, তাঁর সামগ্রিক পড়ানোর অভিজ্ঞতা প্রায় কুড়ি বছরে গিয়ে দাঁড়াবে।’