পঞ্চায়েতের নির্বাচনের প্রচারে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে এসে দক্ষিণ নদীয়ায় প্রচার শুরু করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কথা ছিল রানাঘাটের রামনগর থেকে বাদকুল্লা পর্যন্ত রোড শো করবেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু কর্মী সমর্থকদের ভিড় নেই। অগত্যা চা চক্র সেরেই রানাঘাট থেকে বিদায় নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। নির্বাচনের আগেই মানুষ জবাব দিয়ে দিচ্ছে বলে কটাক্ষ শানিয়েছে তৃণমূল।
সকাল দশটায় রানাঘাটের রামনগর থেকে বাদকুল্লার কদমতলা পর্যন্ত র্যালি এবং বিকেল পাঁচটায় হাঁসখালিতে গ্রাম সভা। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার দিনভর ঠাসা কর্মসূচি দিয়ে জনসংযোগ ও পঞ্চায়েতের প্রচারে ঝড় তুলতে চেয়েছিল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে উত্তর নদীয়ায় বিজেপি প্রচার শুরু করলেও জেলার দক্ষিণ অংশে প্রচারের ময়দানে এতদিন সেভাবে গেরুয়া শিবিরের দেখা মেলেনি।
এদিন সকালে রানাঘাটের রামনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বাজার মোড়ে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস এবং রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। তবে দেখা মিলল না দলের নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের বড় অংশের। বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে সাড়া না মেলা এবং প্রার্থীপদ পাওয়া নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলকে এই অনুপস্থিতির পেছনে দায়ী করছেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। তাঁরা বলেন, নির্বাচন ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন বুথগুলোতে আমাদের শক্তি কমেছিল। বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের পর দেখা গিয়েছিল ৪০ শতাংশ বুথেই কোনও কমিটি নেই। ১০০ দিনের কাজের টাকার বকেয়া নিয়ে মানুষ প্রশ্ন করলে উচ্চ নেতৃত্ব জবাব দিতেন না। এখন পঞ্চায়েতের টিকিট না পেয়ে অনেকেই আর দলীয় প্রচারে থাকতে চাইছেন না। কর্মী সমর্থকদের অভাবে পূর্ব নির্ধারিত র্যালি বাতিল করে রামনগরেই চা চক্র সারেন দিলীপ। দেখা করেন পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের সঙ্গে। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতেও রামনগর মোড়ে অবশ্য মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা সেভাবে নজরে পড়ল না।