চলছে আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। আর সেখানে রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছে জিম্বাবোয়ে। বৃহস্পতিবার আরও একটি জয় পেল তারা। যার ফলে মূল পর্বের আরও কাছে চলে এল তাদের। আপাতত সুপার সিক্স তালিকার শীর্ষে সিকান্দর রাজারা। গ্রুপ পর্ব থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চার পয়েন্ট হাতে নিয়ে সুপার সিক্সে নেমেছিলেন ক্রেগ আর্ভাইনরা। ওমানকে এ দিন ১৪ রানে হারানোর পরে ভারতে খেলতে আসার সুযোগ আরও বাড়ল তাঁদের। বৃহস্পতিবার বুলাওয়েও-তে প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে। সাত উইকেটে ৩৩২ রান তোলে তারা। ম্যাচের নায়ক শন উইলিয়ামস। ১০৩ বলে ১৪২ রান করেন তিনি। মোট ১৪টি চার ও তিনটি ছয়ের সৌজন্যে এই ইনিংস গড়েন উইলিয়ামস। যোগ্যতা অর্জন পর্বে পরপর দু’টি ম্যাচের সেরা হলেন উইলিয়ামস। জবাবে দুরন্ত লড়াই করে ওমান। কিন্তু ৩১৮/৯ স্কোরে শেষ হয় তাদের ইনিংস।
বৃহস্পতিবার উইলিয়ামসের দুরন্ত ইনিংসের পাশাপাশি ২৮ বলে অপরাজিত ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন লুক জংওয়ে। ৪২ রান রাজার। ওমানের হয়ে সেঞ্চুরি করেন কাশ্যর প্রজাপতি। আইয়ান খানের ৪৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংসও কাজে লাগেনি ওমানের। জ়িম্বাবোয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন টেন্ডাই চাতারা ব্লেসিং মুজ়ারাবানি। দুই উইকেট রিচার্ড এনগারাভার। এক উইকেট নেন রাজা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে উইলিয়ামস বলেন, ‘‘একটা সময় মনে হচ্ছি ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের বোলাররা হাল ছাড়েনি। আমাদের মধ্যে জেতার একটা নেশা তৈরি হয়েছে। যা হারিয়ে গিয়েছিল জ়িম্বাবোয়ের ক্রিকেট থেকে।’’ যোগ করেন, ‘‘ব্যাট হাতে ভাল ছন্দে রয়েছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ভাবেই রান করতে চেয়েছি। আমার ব্যাটিংয়ে যেন দলের সাহায্য হয়, সেটাই চেয়েছি। ওমানের সঙ্গে এই ম্যাচটা জেতা অত্যন্ত জরুরি ছিল। আমরা শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়িনি। এটাই বুঝিয়ে দেয়, দলগত প্রয়াসে ফল ভাল হয়।’’ জয়ের এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে মরিয়া আর্ভাইন। আগামী দু’টি ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তিনি।