বার্ধক্যকে স্রেফ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বয়সের বাধা উপেক্ষা করেই গড়েছেন অনন্য নজির। ১০০ মিটার দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ার পরে এবার নয়া নজির গড়লেন হরিয়ানার ১০৬ বছরের বৃদ্ধা রামবাই। মাত্র দু’বছরের মধ্যেই তিনি জিতেছেন ২০০টি পদক। দেরাদুনের জাতীয় অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি সোনার পদক জিতে এই নজির ছুঁয়েছেন তিনি। বৃদ্ধার এই কীর্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিনেতা আর মাধবন। উল্লেখ্য, সারাজীবন খেলাধুলোর সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না রামবাইয়ের। মাত্র দু’বছর আগেই দৌড়ের ট্র্যাকে নেমেছেন তিনি। পাঞ্জাবের মন কউরকে দেখেই অনুপ্রাণিত হন। রামবাইকে উৎসাহ যোগান তাঁর নাতনি শর্মিলা। বাড়িতে তৈরি দুগ্ধজাত খাবার আর নিজেদের চাষের সবজি খেয়েই মাঠে নামার শক্তি বাড়াতে থাকেন হরিয়ানার শতোর্ধ্ব বৃদ্ধা।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৬ সাল থেকে অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাকে নামা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করেন। দু’বছর আগে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে শুরু করেন। তারপর ভারত থেকে শুরু করে বিদেশের প্রতিযোগিতা, সমস্ত ক্ষেত্রেই নজর কেড়েছেন। ১০৪ বছর বয়সে নজির গড়েছেন তিনি। ৮৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছিলেন। ৪৫.৫০ সেকেণ্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে সকলকে চমকে দেন রামবাই। তবে বিশ্বরেকর্ড গড়েও থেমে থাকেননি তিনি। এবার মাত্র দু’বছরের মধ্যে ২০০টি পদক জয়ের কীর্তি স্থাপন করলেন রামবাই। সোমবার দেরাদুনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার তিনটি ইভেন্টে নেমেছিলেন। ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ের পাশাপাশি শটপাটেও অংশ নেন তিনি। প্রত্যেক ইভেন্ট থেকেই সোনার পদক আসে রামবাইয়ের ঝুলিতে। পোডিয়ামে পদক নেওয়ার পর যখন তাঁর নাতনি সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন, ১০৬ বছরের চ্যাম্পিয়ন বলেন, “আমাকে সাহায্য করতে হবে না,যাদের দরকার তাদের সাহায্য করো।” যা শোনার পর বাকরুদ্ধ প্রত্যেকেই।