শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের কাউন্টডাউন। ক’দিন বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচার নেমে পড়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে বিএসএফ ইস্যুতে ফের মোদী সরকারকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাজকর্ম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মমতা। তা নিয়ে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে বিএসএফও। বেশ কড়া ভাষায় বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বাহিনীর তরফে। গতকালের এই ঘটনার পর আজ আবারও বিএসএফ-প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা। জলপাইগুড়ির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিএসএফ-এর গুলিতে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে হোডগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ির সভা থেকে আবারও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। যদিও আজ সুর গতকালের তুলনায় কিছুটা নরম। বললেন, “আমি মনে করি না, বিএসএফ খারাপ। আমি শুধু তাঁদের বলব, তাঁরা যেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন।” তবে কোচবিহারে বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে আজও মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। গতকাল কোচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্র ও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সময়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিয়েও সংশয়ের কথা শুনেছিলেন মমতা। সীমান্তরক্ষী বাহিনী আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও উঠে আসে মমতার গলায়। সেই নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়ে মমতার দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল বিএসএফ। মুখ্যমন্ত্রী যে দাবি করছেন, তা কোনওভাবেই সঠিক নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছিল বিএসএফ। আর আজ আবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে বিএসএফ প্রসঙ্গ। সীমান্তরক্ষী বাহিনী যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, সেই অনুরোধ করেন তিনি। “আপনারা তো দেশরক্ষার কাজ করছেন। কিন্তু অত্যাচার করা উচিত নয়। মানুষের সঙ্গে মিলে কাজ করা দরকার”, স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোর।