আর বেশি দেরি নেই। দিনকয়েক পরেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তুঙ্গে রাজনীতির পারদ। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। পাশাপাশি, আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় নানা দিক দিয়ে রাজনৈতিক ছক কষছে বিজেপি-আরএসএস। শান দিচ্ছে তাদের বহুল ব্যবহৃত ধর্মীয় মেরুকরণের হাতিয়ার। সংখ্যাগুরু হিন্দু ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন তৈরিতে অনেকেই ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার ঈদ-উল-আজহা তথা বকরি ঈদ নিয়ে বাংলায় অশান্তির ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, রামনবমীর সময় হিংসার স্মৃতি এখনও রাজ্যবাসীর মন থেকে মুছে যায়নি। একাধিক জায়গায় রামভক্তদের মিছিলে হামলা ও তাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা এখনো ভুলতে পারেননি অনেকেই। এর মধ্যে হাজির হয়েছে বকরি ঈদের উৎসব। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারপর্বের মধ্যে বকরি ঈদকে কেন্দ্র করে যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না ছড়ায়, সেজন্য জেলাগুলির পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সোমবার সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থায় বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মিশ্র এলাকায় বেশি করে নজরদারি ও পুলিশি বন্দোবস্ত রাখতে বলা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন সূত্র।