মোদী সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সওয়াল উঠল ইপিএফও-র অন্দরে। দীর্ঘদিন ধরেই সম্পূর্ণ বেতনের ভিত্তিতে বর্ধিত পেনশন দেওয়ার বিষয়ে টালবাহানা করছিল মোদী সরকার। একাধিক রাজ্যের হাইকোর্ট ও দেশের শীর্ষে আদালতে এর প্রেক্ষিতে মামলা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানায়, পিএফ গ্রাহকদের বর্ধিত হারে পেনশন দিতে হবে। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে, বাধ্য হয়ে চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে প্রক্রিয়া শুরুও হয়। কিন্তু সন্দিহান ইপিএফও, তারাই মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অভিযোগ উঠছে, ইচ্ছাকৃতভাবে জটিল শর্ত আরোপ করে বর্ধিত পেনশন দিতে চাইছে না মোদী সরকার।
জানা গিয়েছে, বর্ধিত পেনশনের জন্য মোট ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। মাত্র ১ লক্ষ ২৭ হাজার জনের আবেদন পত্রের স্ক্রুটিনি শেষ হয়েছে। তার মধ্যে মোটে ১৮ জনকে বর্ধিত হারে পেনশনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে দিল্লিতে ইপিএফও’র এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে অছি পরিষদের সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য এ দশা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বলে জানা গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায়দানের পর ছ’মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার নিয়মকানুন নিয়ে সাধারণ মানুষের স্বচ্ছ ধারণা নেই। অনেকেই আবেদন করতে পারছেন না। দফতরের সার্ভারের হালও করুন। অনলাইন আবেদনের শর্তগুলি এত জটিল যে অনেকে তা পূরণ করতে পারছেন বলে অভিযোগ।
সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকার পিএফের ১.১৬ শতাংশ ভর্তুকি দেবে না। আর্থিক ক্ষতি হবে গ্রাহকের। অভিযোগ, অছি পরিষদে এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। পিএফ গ্রাহকদের বক্তব্য, জয়েন্ট অপশন ফর্মটি পূরণ করতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। কারণ এখানে গ্রাহক ছাড়াও কর্মদাতা সংস্থার সম্মতি প্রয়োজন। অতীতে সরকারের কাছে এর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল কি না, তাও জানাতে বলা হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এসব শর্ত চাপিয়ে আদপে মোদী সরকার টালবাহানা করছে।