এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে মুখ পুড়ল গেরুয়া শিবিরের। সেখানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থীকে দেখা গেল শাসক দল তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে! হ্যাঁ, ডায়মন্ড হারবার ১ ব্লকের ৬০ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে সেই ছবিটাই দেখা যাচ্ছে। সেখানে ৬০ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী মনমোহিনী বিশ্বাস। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি দাঁড় করিয়েছে পিঙ্কি হালদারকে। সেই পিঙ্কিকেই দেখা যাচ্ছে মনমোহিনীর হয়ে প্রচার করতে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুধু এলাকাতে নয়, জেলা এবং রাজ্য রাজনীতিতেও রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে মনমোহিনী বিশ্বাস যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছিলেন ঠিক তখনই সেখানে হাজির হন বিজেপি প্রার্থী পিঙ্কি। তিনি সেখানে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করার পাশাপাশি ভোটারদের কাছে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আর্জিও জানান। রবি সকালে ঘোষেরচক আবদালপুরের ২০২ নম্বর বুথ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পিঙ্কি যখন তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছিলেন তখন তাঁর হাতে বিজেপির পতাকা ছিল না। ছিল তৃণমূলের পতাকা। বিজেপি প্রার্থীর এহেন আচরণে হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীরাও।
পরে পিঙ্কিদেবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করেনি। কোনও দেওয়াল লিখন হয়নি। প্রচারও করা হচ্ছে না। তাছাড়া এই আসনে দিদি দাঁড়ানোর পর মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটাও আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাই আমি দিদির জন্য প্রচারে বেরিয়েছি।’ অন্যদিকে, এই ঘটনায় মনমোহিনীদেবী জানিয়েছেন, ‘জেলা পরিষদের মতো আসন হেলায় তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি অভূতপূর্ব। তবে বিজেপি প্রার্থীকে কোনও রকম চাপ বা জোর করা হয়নি। আশা করব পিঙ্কিকে দেখে বিজেপির আরও প্রার্থীর এমন বোধোদয় হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে তাঁরা সবাই শামিল হবেন।’