আর বেশি দেরি নেই। শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের কাউন্টডাউন। কয়েকদিন পরেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তুঙ্গে রাজনীতির পারদ। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রচারে ব্যস্ততা বাড়ছে প্রার্থীদের। রবিবার সুন্দরবনে অভিনব উপায়ে প্রচার সারলেন তৃণমূলের পাঁচ প্রার্থী। প্রচারে ভোটারদের গুড়-বাতাসা, জল বিলি করলেন তাঁরা। এবার সন্দেশখালির ন্যাজাট দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হেনা দাস মাহাতো, বিনা সর্দার, টুম্পা কর্মকার ,পূর্ণিমা প্রধান ও সোমা সরকার। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬টি গ্রাম সভার ১৬টিতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। বাকি ১০টি গ্রাম সভার আসন, কে দখল করতে চলেছে, তা জানা যাবে ৮ই জুলাইয়ের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর। রবিবার বেতনি নদীর জেটিঘাটে প্রচার চালাতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের ওই পাঁচ মহিলা প্রার্থী। সেখানেই মানুষের মধ্যে গুড়-বাতাসা বিলি করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুন্দরবনের সার্বিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরা হয়।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মল্লিকা দাস সিংহ জানান, গত দশ বছরে বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সুন্দরবনে। আগে রাস্তায় আলো ছিল না। সে সমস্যাও মিটেছে। এছাড়া পথঘাটেরও সংস্কার হয়েছে। তবে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বেতনি নদীর উপর একটি কংক্রিটের ব্রিজ তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। তাতে মানুষের যাতায়াতের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। এলাকাবাসীদের আর্জি, এবার পঞ্চায়েতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যেন বেতনি নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, ইতিমধ্যে ব্রিজ গড়ার জন্য প্রথম পর্যায়ের রূপরেখা তৈরি হয়ে গেছে। এদিন প্রার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের আইএনটিটিইউসি সভাপতি জহরলাল মাহাতো, ন্যাজাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিকাশ মণ্ডল ও সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটির সদস্য তপন সর্দার-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের পাঁচ প্রার্থী স্পষ্ট জানান, আগামী দিনে তাঁদের মূল লক্ষ্য এলাকার উন্নয়ন। এলাকায় যে যে মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়ে গিয়েছেন, নির্বাচিত হয়ে প্রথমে সেই দিকগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ নেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।