বিজেপিশাসিত মণিপুরে এখনও জ্বলছে জাতিবিদ্বেষের আগুন। অব্যাহত অচলাবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে বন্দি করার পরও চাপের মুখে ১২ জন বিক্ষোভকারীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল ভারতীয় সেনা। উত্তর-পূর্বের ইথাম গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। সেনা জানিয়েছে, মহিলাদের নেতৃত্বে প্রায় দেড় হাজার বিক্ষোভকারীরা দ্রুত এলাকা ঘিরে ফেলে। সেই প্রবল ভিড়ের মধ্যে বন্দি বিক্ষোভকারীদের বাধ্যতই ছেড়ে দেয় সেনা। অভিযুক্তরা সকলেই মেইতেই জঙ্গিগোষ্ঠী কাংলেই ইয়ায়ুল কান্না লুপ তথা কেওয়াইকেএলের সদস্য। শনিবার সকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনা জওয়ানদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আর তারপরই ১২ জনকে বন্দি করতে সক্ষম হয় সেনা। কিন্তু জওয়ানদের ঘিরে ফেলে ১২০০ থেকে ১৫০০ মানুষের দল। বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার আবেদন জানান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, প্রাণহানির ঝুঁকি থাকায় মহিলাদের নেতৃত্বাধীন দলটির দাবি মেনে শেষপর্যন্ত বন্দি বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সেনা। তাদের মুক্তি দেওয়ার পর এলাকা ছেড়ে দেয় ভারতীয় সেনা। উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতি দাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ। সম্প্রতি মণিপুর সরকারের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের টানা আক্রমণের মুখে পড়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই শনিবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিল তৃণমূল, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, ডিএমকে-সহ বিরোধী দলগুলি। মণিপুরে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের পাঠানোর দাবি তুলেছে প্রতিটি দলই।