পরিচয়, বিড়ি কোম্পানির ‘মালকিন’। আর এবার তিনি নামতে চলেছেন ভোটের ময়দানেও। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলায় বিড়ির আঁতুড়ঘর সূতি। আর সেই সূতি থেকে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা পরিষদের ৯ নম্বর আসনে তৃণমূল দ্বিতীয়বারের জন্য প্রার্থী করেছে রুবিয়া সুলতানাকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন রুবিয়া। নিজের ‘মালকিন’ পরিচয় ঝেড়ে ফেলে সূতি ২ নম্বর ব্লকে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের লক্ষ্মীপুর, বাজিতপুর, মহেশাইল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত মহল্লাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা, জেলা পরিষদের এই আসনে বিড়ি শ্রমিকদের ভোট যাঁর দিকে থাকবে, তাঁর জয় কার্যত নিশ্চিত। তাই প্রচারপর্বে সব ভোটারদের দুয়ারে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন রুবিয়া।
প্রসঙ্গত, বরাবরই স্পষ্টবাদী নেত্রী হিসেবে পরিচিত রুবিয়া। নিজের ঘর-সংসার সামলে জেলা পরিষদের সদস্যা হিসেবে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। নিজের পারফরম্যান্স এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজকে হাতিয়ার করে এবার ফের পঞ্চায়েতের ভোট যুদ্ধে নেমেছেন রুবিয়া। তিনি জেলা পরিষদের যে আসন থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সেখানকার বেশিরভাগ ভোটার বিড়ি শ্রমিক। এলাকায় শিক্ষার হার খুব কম। এই মুহূর্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রুবিয়া ভোটারদেরকে বোঝাচ্ছেন, কীভাবে তাঁরা ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন। সেটি ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলবেন। তার সঙ্গে চলছে ভোটারদের পরিবারের সুখ-দুঃখের খবর নেওয়া। সূতি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের ভ্রাতৃবধূ, রুবিয়ার বক্তব্য, “আমার ব্যক্তিগত পরিচয় কখনওই বড় নয়। আমি নিজের এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষদের জন্য কাজ করতে চাই। তাই গ্রামে ঘুরে সকলের বাড়ি গিয়ে আমি ভোট ভিক্ষা করছি। গত জেলা পরিষদের একজন সদস্যা হিসেবে আমি এলাকাতে বেশ কিছু নতুন রাস্তা, কালভার্ট এবং পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে পেরেছি। পাশাপাশি প্রচুর মানুষকে ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্য করেছি। এই এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ওঠেনি। আমার ছেলেমেয়েরা এখন একটু বড় হয়ে গিয়েছে। আমার নির্বাচনী লড়াইতে আমার স্বামী-সহ পরিবারের সকলেই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।” পাশাপাশি রুবিয়া জানিয়েছেন, প্রচারে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছেন তিনি। যা জয়ের ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে তাঁকে।