দ্রুত পদক্ষেপের পথে হাঁটল কলকাতা পুরসভা। উল্লেখ্য, পুরনিগমের অ্যাডেড এরিয়া সংযুক্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের দুই ধরনের কর দিতে হয়। একটি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের খাজনা এবং দ্বিতীয়টি কলকাতা পুরনিগমের সম্পত্তিকর বিভাগের প্রপার্টি ট্যাক্স। আর এই দুই কর মেটাতে গিয়ে শহরের সংযুক্ত অঞ্চলের ৪৪টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একবার ছুটতে হয় বিএলআরও অফিসে, একবার ছুটতে হয় পুরনিগমের কার্যালয়ে। ফলে সময় খরচ হয় বেশি, ভোগান্তিও হয় বেশি। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন চাইছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সেই পরিবর্তন ঘটাতেই পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। দুটি কর যাতে একত্রে অনলাইনে নেওয়া যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুরনিগমের ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডগুলিকে বলা হয় সংযুক্ত এলাকা। এর মধ্যে রয়েছে যাদবপুরের একটা বড় অংশ, গড়িয়া, পাটুলি, বৈষ্ণবঘাটা, সন্তোষপুর, কালিকাপুর, আনন্দপুর, বেহালা, ঠাকুরপুকুর, বড়িশা ও মেটিয়াবুরুজ এলাকা।
প্রসঙ্গত, এতদিন এইসব এলেকার বাসিন্দাদের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের খাজনা এবং কলকাতা পুরনিগমের সম্পত্তিকর মেটাতে হত। একই সঙ্গে সংযুক্ত এলাকায় নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে গেলে নানা ধরনের প্রশাসনিক সমস্যায় পড়তে হত সেখানকার মানুষদেরকে। বহুকাল ধরে এইসব সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এবার সেই সমস্যা সমাধানে খাজনা এবং পুরনিগমের কর এক সঙ্গে অনলাইনে নেওয়ার পরিকাঠামো তৈরির প্রস্তাব রাজ্যের ভূমি রাজস্ব দফতরকে পাঠিয়েছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। এই তথ্য জানিয়েছেন পুরনিগমের পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, খাজনা বন্ধ করা সম্ভব নয়। আইন সংশোধন করতে গেলে অন্য জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই খাজনা ও পুর সম্পত্তিকর দু’টিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। নাগরিকরা একসঙ্গে অনলাইনে দু’টির টাকা জমা দেবেন। পরে দুই দফতরের মধ্যে প্রাপ্ত টাকা ভাগ হয়ে যাবে। সেই পরিকাঠামো তৈরির বিষয়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই পরিকাঠামো তৈরি হলে নাগরিকরা উপকৃত হবেন। দুই খাতের টাকা জমা দিতে দু’জায়গায় যেতে হবে না। তাতে মানুষের সময় ও শ্রম লাঘব হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।