নাম, লালুপ্রসাদ যাদব৷ বিহার তো বটেই, জাতীয় রাজনীতির অন্যতম রঙিন চরিত্র৷ বিতর্কিত তো বটেই৷ নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগে গলা পর্যন্ত ডুবে৷ পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত৷ তারপর জেল৷ অসুস্থতা৷ দীর্ঘদিন রাজনীতির ময়দানের বাইরে৷ আজ, নীতীশ কুমারের ডাকা বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠকে ফের দেখা গেল তাঁকে৷ স্বমহিমায়৷
এদিনের বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে পুরনো বন্ধু নীতীশ কুমারের পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় লালুপ্রসাদকে৷ তিনি বলেন, ‘আমি পুরোপুরি ফিট হয়ে গেছি। এবার বড়িয়া সে ফিট করে দিতে চাই বিজেপিকে, এবার আমি সরাব।’
লালু জানান, বিজেপি বিরোধী দলগুলির পরবর্তী বৈঠক হবে শিমলাতে৷ সেখানে পরের ধাপ নিয়ে আলোচনা হবে। লালুর কথায়, ‘সবাই বলত, আমরা কেন একসঙ্গে লড়াই করি না। বাজারে গিয়ে দেখুন কী দাম জিনিসের! বেকারত্ব বাড়ছে। বিজেপির হাল কিন্তু খারাপ। মোদির অবস্থাও খারাপ হবে। ২০০০ টাকার নোট বাতিল করল। কেন করল?’
গত বছর ডিসেম্বরেই সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের৷ বাবাকে সুস্থ করতে নিজের কিডনি দান করেছেন মেয়ে রোহিনী আচার্য। দীর্ঘদিন ধরেই নানা রকম অসুখবিসুখে ভুগছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরডেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সম্প্রতি কিডনির সমস্যাও শুরু হয়েছিল তাঁর। সমস্যা গুরুতর হওয়ায় কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসকেরা। তারপরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার হয়।