কথায় আছে, ‘যে মেঘ গর্জায়, সেই মেঘ বর্ষায় না’। বঙ্গ সিপিএমেরও যেন এখন সেই দশা। তাদের সমস্ত তর্জন-গর্জন যে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ ফের মিলল তার প্রমাণ। এবার মনোনয়ন তুলে নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে তৃণমূলকে জিতিয়ে দিলেন খোদ তাদের ২ প্রার্থী। শুধু তাই নয়। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সবুজ আবির মেখে বিজয় উৎসবেও মাতলেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে বামেদের।
প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নম্বর ব্লকের মসজিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও লড়াই ছাড়াই একাধিক আসনে জিতে গিয়েছে তৃণমূল। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৩টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে আটটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসকদল। বাকি ৫টা আসনে নির্বাচন হবে। মসজিদপুর এবং শ্রীধরপুর গ্রাম থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন রোজিনা বেগম ও সত্যেন বাগদি। সময় মতো তাঁরা মনোনয়নও জমা দেন। কিন্তু পরে তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এতেই ওই দুটি আসনে জিতে যায় তৃণমূল। বাকি ৬টি আসনেও একই ভাবে প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই আসনগুলোতেও জিতে যায় শাসকদল।
এদিকে, জয়ের খবর আসার পর আবির খেলে বিজয় উৎসব পালন করে শাসকদল। সেই অনুষ্ঠানে সামিল হন রোজিনা বেগম ও সত্যেন বাগদিও। সবুজ আবিরও মাখেন তাঁরা। গলায় মালা পরিয়ে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়। তাদের প্রার্থীরা শাসকদলের চাপে পড়ে এমন কাজ করেছেন বলে দাবি করেছিল সিপিএম। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে রোজনা বেগম বলেন, ‘সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু ভেবে দেখালাম এলাকায় শাসকদলের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছে ওরাই। তাই মনোনয়ন তুলে নিলাম।’