আগামী বছরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর সে দিকে তাকিয়েই জোটের সলতে পাকাতে শুক্রবার পাটনায় বৈঠকে বসেছিল বিরোধী দলগুলি। সেখানেই বহুদিন পর মুখোমুখি হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিন আগেই রাহুলের জন্মদিনে টুইটে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু দেখা এবং কথা হয়নি অনেকদিন। পাটনার বৈঠকে মমতা ব্যক্তিগতভাবে সব নেতার সঙ্গেই কথা বলেন। শরীর-স্বাস্থ্যের খরব নেন। সেই তালিকায় ছিলেন রাহুলও।
বৈঠকে মমতা ত্রাতার ভূমিকা নেন যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের মধ্যে কথা কাটাকাটি চরম আকার নেয়। দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে বলে জেদ ধরেন কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ঝগড়া চলতে থাকে মূলত খাড়গে ও কেজরিওয়ালের মধ্যে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতেই আপ ঘোষণা করেছিল, কংগ্রেস কথা না দিলে তারা বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেজরিওয়াল সেই রাস্তায় হাঁটেননি। সেটা সম্ভব হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায়। শুক্রবারের বৈঠকে আপ-কংগ্রেস ঝগড়া যখন চরমে তখন পরিস্থিতি হাল্কা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি বলেন, কেজরিওয়ালজি, খাড়্গেজি এবং রাহুলজি, আপনারা বৈঠক শেষে চা-বিস্কুট নিয়ে এক টেবিলে বসুন। আলাদা করে কথা বলুন। সমস্যা মিটে যাবে।
তৃণমূল নেত্রীর এই কথায় অনেকেই হেসে ওঠেন। হাল্কা হাসির রেখা দেখা যায় খাড়গে এবং কেজরিওয়ালের মুখেও। কিন্তু মন্ত্রের মতো কাজ করে মমতার কথা। মুহূর্তে বাকযুদ্ধ থামিয়ে দেন দুই নেতা। পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের অন্য আলোচনা শুরু করেন বৈঠকের আহ্বায়ক নীতীশ কুমার। তখনই নিজের মাইক্রোফোন চালু করে রাহুল তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ দিদি’। পরে বৈঠক শেষে মমতা একে একে সব নেতার সঙ্গেই কয়েক মিনিট করে কথা বলেন। সেই তালিকায় ছিলেন সোনিয়া-পুত্রও।