আগামী বছরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে আজ বিহারের পাটনায় বিরোধী দলগুলির মেগা বৈঠক ডেকেছেন নীতীশ কুমার। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, তেজস্বী যাদব, মেহেবুবা মুফতি, ফারুখ আবদুল্লাহ, এম কে স্ট্যালিন, শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, হেমন্ত সোরেন, সীতারাম ইয়েচুরি, অখিলেশ যাদব সকলেই সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু বৈঠকের বহুদিন আগে থেকেই মনে করা হচ্ছিল বিরোধী জোটের মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হতে চলেছেন। আর সেটা খানিকটা স্পষ্ট হয়ে গেল, নীতীশের বাসভবনের ওই বৈঠকে বিরোধী নেতাদের আসন বিন্যাস দেখেই।
দীর্ঘদিন বাদে একমঞ্চে এসেছেন রাহুল-মমতা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও উপস্থিত বৈঠকে। কিন্তু মমতা-রাহুলকে পাশাপাশি বসানো হল না। বরং মুখ্যমন্ত্রীর একপাশে বসলেন বিরোধী শিবিরের আরও দুই সিনিয়র নেতা লালুপ্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমার। অন্যদিকে বসলেন শরদ পওয়ার এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মমতার সারিতেই ছিলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। কিন্তু রাহুল বসেছিলেন নীতীশ কুমারের পাশে। মমতা গুরুত্ব দিলেন আঞ্চলিক নেতাদেরই। আসলে বিরোধীদের একজোট করার কাজটা শুরুতে করেছিলেন মমতাই। পরে সেই কাজটা খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যান নীতীশ কুমার, শরদ পওয়ারা। আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালও গোটা দেশে ঘুরেছেন। এদেরই পাশে নিয়ে বসলেন মমতা।