ফের প্রকাশ্যে এল মোদী সরকারের অকর্মণ্যতা। প্রসঙ্গত, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দেশে বেকারত্ব নিয়ে একের পর এক তৈরি হয়েছে লজ্জার নজির। প্রতি বছর ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। অথচ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ডাহা ফেল তিনি। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও ব্যর্থতার নজির গড়ল মোদী সরকার। অর্থমন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে, গোটা দেশে এই মুহূর্তে ৩০ লক্ষ ১৩ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী রয়েছে। এই পরিসংখ্যান ২০১০ সালের পর সর্বনিম্ন। অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে বলছে, বিগত তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত পদ ও চাকরির সংখ্যা, দুই হ্রাস পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের শূন্যপদের সংখ্যা এখন ৯ লক্ষ ৬৪ হাজার। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিরও হাল একই।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রকের বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১ সালে ১লা মার্চ অসামরিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ব্যতীত কেন্দ্রের অনুমোদিত রেগুলার কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষ ৩৫ হাজার। ২০২২ সালের ১লা মার্চ তা ৩৯ লক্ষ ৭৭ হাজারে নেমে এসেছে। এক বছরেই পঞ্চান্ন হাজার কর্মীর সংখ্যা কমল! গ্রুপ সি পদগুলিতে কর্মী নিয়োগে কোপ পড়েছে সর্বাধিক। একই সময়ে কেন্দ্র সরকারে কর্মরত কর্মীর ব্যাপক হারে কমেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের ১ মার্চ কেন্দ্র সরকারে কর্মরত ছিলেন ৩০ লক্ষ ৫৬ হাজার কর্মী। পরের বছরে তা কমে হয়েছে ৩০ লক্ষ ১৩ হাজার। এখনও রেল, অসামরিক প্রতিরক্ষা, ডাক, রাজস্বমন্ত্রকে অনুমোদিত পদ ও কর্মীর সংখ্যা নাগাড়ে কমিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। সরকারি শূন্যপদ পূরণের স্থায়ী সমাধান সূত্র খুঁজে বার করতে দিশেহারা মোদী সরকার।