রাজভবন-রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার ফেরত পাঠানোর ঘটনা ‘নজিরবিহীন’, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। জানিয়ে গেলেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সাংবিধানিক পদ। তাঁকে সরাতে হলে ইমপিচমেন্ট করতে হয়’।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। হাই কোর্টের তোপের মুখে পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বিতর্ক নতুন মোড় নেয় বুধবার। আচমকাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার যোগদানপত্র ফেরত পাঠান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কমিশনার পদে রাজ্যপাল ছাড়পত্র দেওয়ার পরে নবান্ন থেকে রাজীবের নামে যোগদানপত্র পাঠানো হয়েছিল। তাতে সই না করেই রাজ্যপাল ফেরত পাঠিয়ে দেন বলে খবর। যা কার্যত নজিরবিহীন। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের ফলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নজিরবিহীন। তাঁর নিয়োগ বাতিলের তথ্য আমাদের কাছে নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার একটি সাংবিধানিক পদ। তাঁকে শপথ নিতে নয়। নিয়োগের ফাইল রাজ্যপাল নিজে স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছিলেন। নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছিল। এখন তাঁকে সরাতে গেলে হাই কোর্টের বিচারপতিদের মতো ইমপিচ করতে হবে’।
একইসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, ‘এবারের মতো শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন প্রক্রিয়া এর আগে কখনও হয়নি। ৯৬ শতাংশ বুথে শান্তিতে মনোনয়ন জমা হয়েছে। মাত্র ৪টে বুথে গণ্ডগোল হয়েছে’। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মমতার মন্তব্য, ‘যত ইচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিক। ভোট দেবে মানুষ। বাংলাকে যত বঞ্চনা করবে, লাঞ্ছনা করবে, তত মানুষ জবাব দেবে’। পরিশেষে তাঁর আবেদন, ‘সকলে শান্ত থাকুন। কমিশন নিজের কাজ করুক। আপনারাও নিয়ম মেনে ভোট দিন’।