রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস আলোচনার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু যাননি তিনি। আর তারপরই রাজ্যপালের তরফে কড়া পদক্ষেপ! যা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে পৌঁছেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছে রাজ্যপাল।
এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমাদের কাছে এরকম কোনও তথ্য নেই। এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। উনিই কমিশনারের নামে অনুমোদন দেন।’
এদিন বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে পাটনা যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠক। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘কমিশনারকে সরাতে গেলে ইমপিচমেন্টের পথে যেতে হবে। এত সহজ নয়। উনি ওঁর মতো কাজ করুক, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোটে লড়াই করি। আমরা লড়ে নেব, জিতে নেব। এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন আগে কখনও হয়নি। মাত্র ৪ টি বুথে অশান্তি হয়েছে। যত পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিক। যত আমাদের ঘাঁটাবে, যত অসম্মান করবে, রাজনৈতিক ভাবে না পেরে বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে যা খুশি করছে। মানুষ এর জবাব দেবে।’
এরই মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে এলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা। আর এখানেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তিনি কী তাহলে ইস্তফা দিচ্ছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য, তাঁর কাছে এমন কোনও খবর নেই। ইস্তফা নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে রাজীবা সিনহা বলেছেন, ‘আমার কাছে কোনও খবর নেই’।