গত বছরের ১১ অগস্ট সকালে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার কিছু সময় পরেই গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার হন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তবে অনুব্রত-হীন বীরভূমেও পঞ্চায়েত ভোটে অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারল না বিরোধীরা। এবার মনোনয়ন পর্বে বীরভূমে বড় কোনও গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে বাধা পাচ্ছেন— এমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। তাহলে কেন সব আসনে প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি বা বামেরা? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, বীরভূমে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে মোট আসন রয়েছে ২৮৫৯। তার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিতে পেরেছে মাত্র ১২৮৪টি আসনে। আর সিপিএম প্রার্থী দিতে পেরেছে ১২০৩টি আসনে। অর্থাৎ অর্ধেক আসনেও তাঁরা প্রার্থী দিতে পারেননি। কংগ্রেস ৪৪৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। আবার, বীরভূমে জেলা পরিষদে মোট ৫২ টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি ৪৮ টি আসনে এবং বাম-কংগ্রেস ৫০ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। জানিয়ে রাখা ভাল, জেলা পরিষদের সব আসনে এবার কংগ্রেস-সিপিএম জোট হয়েছে। তৃণমূল স্বাভাবিক ভাবেই ৫২ টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে।
অন্যদিকে, বীরভূমে পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৪৯০ টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ২৯৭টি আসনে। আর সিপিএম ও কংগ্রেস যথাক্রমে ২৬৩ টি ও ৮২ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে সব আসনে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্ধেকের বেশি আসনে বিজেপি বা সিপিএম যে প্রার্থী দিতে পারেনি তার মানে একটাই। তা হল, বুথ স্তরের সংগঠনের বেহাল দশা৷ বুথে লোক নেই তাদের। গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে গেলে বুথে অন্তত তিনটে লোক থাকা দরকার। প্রার্থী ও দুই প্রস্তাবক। তা না থাকলে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয়।