রেল দুর্ঘটনা এড়াতে দেশের সমস্ত ট্রেনে ‘কবচ’ নামের ‘অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস’ লাগিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তারপরেও বালেশ্বর কাণ্ডে প্রায় ৩০০ জন ট্রেনযাত্রীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যে রেল দুর্ঘটনা এড়াতে ঘটা করে যে কবচ প্রকল্প চালু করেছিল মোদী সরকার তার কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেই প্রকল্প আদৌ কবে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে, তার কোনও দিশা দিতে পারলেন না খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। তিনি জানিয়েছেন, এটা একদিনে সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। সময়সাপেক্ষ। তবে আগের তুলনায় এই প্রকল্প অনেক গতি পেয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে মোদী সরকার রেলে প্রথম অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেমের কাজ শুরু করে। এটা একদিনে সম্ভব নয়। অন্যান্য অনেক দেশে নয়ের দশকে এই প্রযুক্তি এসেছিল। কিন্তু এখানে আসেনি। ২০১৬ সালে ‘কবচ’ ডেভলপ করেছে। শুরুতে যখন ডিজাইন হয়েছিল, এক বছরে ৪০ কিলোমিটার ট্র্যাকে তা ইনস্টল করা গিয়েছে। এখন বছরে দু’ হাজার কিলোমিটার লাইনে কবচ হয়। কয়েক বছরের মধ্যে ছ’হাজার কিলোমিটার ট্র্যাকে কবচ প্রযুক্তির টার্গেট নেওয়া হয়েছে।’ তবে বিরোধীদের দাবি, এ সবই কথার কথা। ভারতে প্রায় ৬৮ হাজার কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’হাজার কিলোমিটার ট্র্যাক কবচের আওতায় এসেছে। মাত্র ৬৫টি ইঞ্জিনে বসানো হয়েছে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস। আর ২০০১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই এই কবচ প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিতি ঘটে। তখন শুধুমাত্র লোকোতেই অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানোর কথা বলা হয়।