আগামী বছরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে আগামী ২৩ জুন বিহারের পাটনায় রয়েছে হাইভোল্টেজ বৈঠক। দেশের সমস্ত বিরোধী দল সেখানে বৈঠকে বসতে চলেছে বলে খবর। আর তার আগে মঙ্গলবার বড় দাবি তুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্দেশে তাঁর আর্জি, সম্মেলনের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে আলোচনা করা হোক।
আপ সুপ্রিমোর কথায়, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হল দিল্লির অর্ডিন্যান্স, যাঁর ক্ষমতা বলে দিল্লির রাজ্য সরকারের হাত থেকে অফিসারদের ট্রান্সফার-পোস্টিং কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের হাতে নিয়েছে। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, এমন সিদ্ধান্ত আগামী দিনে কেন্দ্র যে কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রেই করতে পারে। কেউ নিরাপদ নয়। তাঁর কথায়, দিল্লিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে অফিসাররা মন্ত্রীদের কথা শুনছেন না। তাঁরা উপ-রাজ্যপালের ইশারায় কাজ করছেন। বকলমে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় শাসন কায়েম করা হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার আরও বলেন, অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই তিনি সুপ্রিম কোর্টে চালিয়ে যাবেন। তবে বিষয়টি অনেক বেশি সাংবিধানিক। তাই বিরোধী দলের সম্মেলনে এই বিষয়ে গোড়াতেই আলোচনা চাই। ক’দিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যসভায় বিলটি মোদী সরকার পাশ করাতে না পারলে তা হবে লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনালে বিরোধীদের জয়। কেজরিওয়ালের এই বক্তব্য নিয়ে বিরোধী শিবিরের কোনও নেতা এখনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও বিভিন্ন দল সূত্রের খবর, আপ সুপ্রিমোর অবস্থান ঘিরে কংগ্রেসের উপর বাড়তি চাপ তৈরি হল সন্দেহ নেই।
কারণ, অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। কেজরিওয়ালের অঙ্ক, সব বিরোধী দল একজোট হলে রাজ্যসভায় অর্ডিন্যান্স পাশ করাতে পারবে না মোদী সরকার। কিন্তু দিল্লি ও পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের আপত্তির মুখে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে আলোচনার সময়ও দেননি। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, বিরোধী ঐক্যের কথা বলা কংগ্রেসকে অর্ডিন্যান্স নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।