বেছে গিয়েছে ভোটের দামামা। তুঙ্গে রাজনীতির পারদ। আগামী ৮ই জুলাই রাজ্যজুড়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই নির্বাচনে ফের দেখা যাবে ‘পিঙ্ক বুথ’। বিগত পুরসভার নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল এই বুথ। গ্রামবাংলার বহু মানুষ এখন পিঙ্ক বুথের বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এই ‘পিঙ্ক বুথ’ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগে কখনও পঞ্চায়েত নির্বাচনে এমন গোলাপি রঙের বুথ কেউ দেখেননি। এবার প্রথম দেখবেন সবাই। যে বুথটি সম্পূর্ণ মহিলা ভোটকর্মী দ্বারা পরিচালিত হবে। তবে এমন বেশ কয়েকটি বুথ থাকবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এমন উদ্যোগ নিল। মহিলা ভোটাররা যাতে বেশি করে গণতন্ত্রের এই উৎসবে সামিল হতে পারে তার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এমন বুথের সংখ্যা কত হবে সেটা অবশ্য এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়নি।
উল্লেখ্য, এই গোটা বুথটি গোলাপি কাপড়ে মোড়া থাকবে। প্রত্যেকটি টেবিল গোলাপি চাদরে ঢেকে রাখা হবে। চারিদিকে গোলাপি বেলুনের সাজে সাজিয়ে তোলা হবে। এখানে যে মহিলারা ভোটের কাজে যুক্ত হবেন তাঁদের পরনে থাকবে গোলাপি শাড়ি। বাইরে থেকে বুথটি দেখলেই যাতে বোঝা যায় এটা পিঙ্ক বুথ তার সব ব্যবস্থা রাখা থাকবে। আর সেটা দেখে মহিলারা এখানে এসে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারবেন। এই বুথটির দায়িত্বে যেমন মহিলারা থাকবেন তেমনই মহিলা ভোটারদের জন্যই এই বুথ গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০১৮ সালে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে এই পিঙ্ক পোলিং বুথ দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও পিঙ্ক পোলিং বুথের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তারপর ৮ই জুলাই রাজ্যে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। আর বাকি রাজ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তবে গোটা রাজ্যে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৩,৩১৭। যার নির্বাচনী কেন্দ্র ৫৮,৫১৩টি। মোট পঞ্চায়েত সমিতি আছে ৩৪১টি। যার নির্বাচনী কেন্দ্র ৯,৭৩০টি। আর মোট জেলা পরিষদ ২০টি। যার নির্বাচনী কেন্দ্র ৯২৮টি। সবমিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ৬১,৬৩৬টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৩৪ জন।