রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তবে এই ভোটযুদ্ধ শুধু আর শাসক ও বিরোধী দলগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন মানে যেন ঘরে-ঘরে যুদ্ধ। একই পরিবারের মধ্যে এক সদস্যের ভিনদলের ঝান্ডা হাতে অন্য সদস্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই। কোথাও মেয়ে তৃণমূল প্রার্থী আর মা তাঁরই পাশের বুথে বিজেপি প্রার্থী। আবার কোথাও বাবা সিপিএমের টিকিটে লড়বেন আর বিজেপিকে জেতাতে বদ্ধপরিকর ছেলে। এভাবেই সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি।
প্রথম ঘটনাটি গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকে। দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী এলাকা। একদিকে সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত তো অপরদিকে শংকরকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত। সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৮ নম্বর বুথে প্রার্থী হয়েছেন সঞ্চালিকা চৌধুরী ওরফে মনা। আর শংকরকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৩ নম্বর বুথে প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই মা জ্যোৎস্না সরকার। মেয়ে তৃণমূলের প্রতীকে প্রার্থ হলেও বিজেপির টিকিট নিয়েই ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন জ্যোৎস্নাদেবী।
এদিকে, মহাভারতের রণাঙ্গণে যেমন ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ হয়েছিল, তেমনই বাঁকুড়ার রানিবাঁধে রাজনীতির রণাঙ্গণে বাবার সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছেন ছেলে। রানিবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির ৬ নম্বর আসনে বাবা কালিপদ মাহাতো সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন। ওই আসনে বিজেপির প্রার্থী কালিপদ মাহাতোর ছেলে মহিতোষ মাহাতো। বাম দলের প্রার্থী কালিপদের বিরুদ্ধে রাম দলের প্রার্থী মহীতোষ। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শিশির মাহাতো। তৃণমূল প্রার্থী থাকলেও বাবা ছেলের ভোট যুদ্ধের লড়াই সকলের নজর কাড়ছে।