প্রতিদিন রেলে সওয়ার করেন প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাই রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে মোদী সরকারকে কোনও মতেই ছেলেখেলা করতে দেবে না তৃণমূল। এই নিয়ে গতকাল সংসদে সরবও হল তৃণমূলের সাংসদরা।
বাংলা-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পড়ে থাকা রেলের জমি কেন উপার্জনের একটি পথ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানান, কলকাতা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীপুর এলাকায় রেলের যে শ্যামাপ্রসাদ ইনস্টিটিউট একপ্রকার ভগ্ন দশায় পড়ে রয়েছে, শীঘ্রই তার সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
সুদীপবাবুর আবেদনে সাড়া দিয়ে রেল ওই ইনস্টিটিউট সংস্কার করতে ৮৪ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুদীপবাবুকে এই অর্থ অনুমোদনের প্রসঙ্গটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন।
রেল সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বগিবিলের মতো অরুণাচলে নতুন ব্রিজ শুরু হওয়ার মতো প্রকল্পকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে রেলের যে পুরনো সেতুগুলি রয়েছে, তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো হচ্ছে না।
প্রয়োজনের চেয়ে রেলের গ্যাংম্যানের সংখ্যা ৬০ শতাংশ কম রয়েছে দাবি করে সুদীপবাবু বলেন, গোটা দেশে এক লক্ষ ৪০ হাজার রেল সেতু রয়েছে। এর মধ্যে স্রেফ ১০০ বছরের পুরনো রেল সেতুর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৮৯। যেগুলির বেশিরভাগই বিপজ্জনক অবস্থা। হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে সেইসব সেতুর ওপর দিয়েই ট্রেন যায়।
ফলে যে কোনও মুহূর্তে অঘটন ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে লোকসভা তৃণমূলের দলনেতা বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে রেল নিয়ে কোনও মতেই সরকারকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না আমরা। তৃণমূল যে বারবারই এ বিষয়ে সরব হবে, নিজের বক্তব্যে সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।