বিড়ম্বনায় বঙ্গ পদ্ম শিবির। যাদেরকে প্রার্থী করা হবে, তারা এলাকায় কতটা পরিচিত, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। তাই পঞ্চায়েত ভোটে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থীদের এলাকায় চেনাতে প্রার্থীদের ছবি দিয়ে প্রচার শুরু করতে চলেছে বিজেপি। প্ল্যাকার্ড—ব্যানারে দলের প্রার্থীদের ছবি লাগানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। খবর বিজেপি সূত্রের।
গতবার পঞ্চায়েত ভোটে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন পদ্ম প্রতীকে, তাঁদের অধিকাংশের সঙ্গেই বর্তমানে রাজ্য বিজেপির কোনও যোগাযোগই নেই। এবার বেশিরভাগই নতুন মুখ। অনেক ‘দলবদলু’রাও ভিড় করেছেন। ফলে পুরনোরা অনেকেই বসে যাওয়ার প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটেও পড়তে চলেছে গেরুয়া শিবিরে বলে আশঙ্কা করছে বঙ্গ বিজেপি। এছাড়া আদি—নব্য দ্বন্দ্ব তীব্র আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত ও চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে সেই দ্বন্দ্বই চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে দলের কাছে।
এদিকে, বাম প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হচ্ছে। সালানপুর ব্লকে এমনই অভিযোগ উঠল। বিরোধী প্রার্থী মূলত সিপিএম প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হচ্ছে বলে সালানপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক রঞ্জিত সরকারের দাবি। সোমবার সকাল থেকেই সালানপুর ব্লকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের হিড়িক পড়ে যায়। এর ফলে বাসুদেবপুর জেমারি পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছে তৃণমূল।
বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতে ১১ টি আসন ছিল যার মধ্যে চারটি আসনে কোনও মনোনয়ন করা হয়নি। পাশাপাশি সিপিএমের দুজন মনোনয়ন করলেও সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে ফলে তৃণমূল সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। যদিও সিপিএম নেতৃত্ব যতই বলুক না কেন মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মনোনয়ন করতে এসে প্রার্থীদের মুখে উল্টো সুর। তারা কেউই স্বীকার করলেন না যে হুমকি দিয়ে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে বরং তারা বললেন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেই তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।