আন্তর্মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। রবিবার রাতে লেবাননকে হারিয়ে ২০১৮-র পর আবার খেতাব জিতলেন সুনীলরা। এদিন ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ভারতীয় ফুটবল দল ২-০ ব্যবধানে হারাল লেবাননকে। গোল করলেন সুনীল ছেত্রী এবং লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। দুটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। এই নিয়ে টানা ছ’টি ম্যাচ গোল হজম করল না ভারতীয় দল। যদিও এদিন প্রথমার্ধে অগোছালো ফুটবল খেলেছে তারা।। পরিকল্পনার অভাব ছিল দলে। আক্রমণ করলেও তা ঠিকঠাক দানা বাঁধছিল না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা বদলে যায়। শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলতে থাকে ভারত। দু’টি গোল হয়। সুযোগ ঠিকঠাক কাজে লাগালে আরও বেশি ব্যবধানে জিততে পারত ইগর স্তিমাচের ছাত্ররা। রবিবার ম্যাচের শুরুতেই একটি পেনাল্টি পেতে পারত ভারত। আশিক কুরুনিয়ানকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন লেবাননের ফারান। ভারতীয় ফুটবলাররা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি গোলকিকের নির্দেশ দেন। অসন্তুষ্ট হন কোচ ইগর স্তিমাচ। ডাগআউটে চিৎকার করে রেফারির নির্দেশের বিরোধিতা করেন তিনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ভারতের খেলার মধ্যে তেমন ঝাঁঝ ছিল না। আক্রমণ হচ্ছিল ঠিকই। কিন্তু কোনও ফুটবলারই ফিনিশ করতে পারছিলেন না। এ ছাড়া, প্রচুর ভুল পাসও হচ্ছিল। ভারতীয় ফুটবলারদের পা থেকে বল কেড়ে নিচ্ছিলেন লেবাননের ফুটবলাররা। মাঝমাঠে সাহাল আব্দুল সামাদকে খুব একটা সাবলীল দেখায়নি। একই রকম নিষ্প্রভ ছিলেন অনিরুদ্ধ থাপাও। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই শুরুতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করেন সুনীল। নিখিল পূজারী পাস দিয়েছিলেন ছাংতেকে। ডান দিক থেকে ছাংতে বেশ কিছুটা দৌড়ে এসে ক্রস করেন বক্সে। গোলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুনীল বল জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি। গোল পেয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে ভারত। লেবাননের বক্সে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ে স্তিমাচের দুই বদলে। বাঁ দিকের উইংয়ের জন্যে নাওরেম মহেশকে আনেন স্তিমাচ। আক্রমণে সুনীলের পাশে জুড়ে দেন রহিম আলিকে। তার পরেই দ্বিতীয় গোল আসে। ৬৬ মিনিটের মাথায় মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে সুনীল বাঁ দিকে মহেশের উদ্দেশে পাস দিয়েছিলেন। মহেশের বাঁ পায়ের শট আটকে দেন লেবাননের গোলকিপার সাবেহ। কিন্তু তাতে শেষমেশ লাভ হয়নি। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন ছাংতে। আর তাতেই ভারতের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।