সমাধান দূর অস্ত। এখনও হিংসার আগুন জ্বলছে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায়। দেড় মাস কেটে গেলেও বিন্দুমাত্র বদলায়নি পরিস্থিতি। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হিংসাত্মক ঘটনা। অতিসম্প্রতিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি পুড়িয়েছে উন্মত্ত জনতা। দক্ষিণ মণিপুরের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দিকে দিকে ব্যারিকেড করে রেখেছে কয়েক হাজার মহিলা বাহিনী। শুক্রবার মধ্যরাতে থানা লুটপাটের চেষ্টা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। প্রকাশ্যে সে রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকারের ব্যর্থতা। পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী সরকারের নিস্পৃহ মনোভাব নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে নানান মহলে। ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দল তিনদিন ধরে দিল্লীতে বসে রয়েছে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। অন্যদিকে, মোদী ব্যস্ত তাঁর আসন্ন মার্কিন সফরের প্রস্তুতি নিয়ে। সোমবার তিনি উড়ে যাবেন আমেরিকায়। এমতাবস্থায় বিজেপিকে সঙ্গত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মণিপুরে তাদের জোটসঙ্গী দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি।
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই মণিপুর-পরিস্থিতি নিয়ে ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। এবার মুখ খুলল শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। উত্তর-পূর্ব ভারতের নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স অর্থাৎ নেডা-র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এনপিপি। ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় এনপিপির ৭ জন বিধায়ক রয়েছে। এনপিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়ামনাম জয়কুমার সিংহ মণিপুরের হিংসা প্রসঙ্গে এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তাঁরা নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকবেন না। বিজেপির সঙ্গে জোটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে। উল্লেখ্য, মণিপুরে হিংসা রুখতে মোদী সরকারের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের। এবিষয়ে শরিক দল এনপিপির বক্তব্য, রাজ্য এবং কেন্দ্রের দায়িত্ব মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু যথাযথ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে তাদের। ফলত পরিস্থিতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি আপাতত। আতঙ্ক ও উদ্বেগে ভুগছে ত্রিপুরাবাসী।