কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় ধান কেনার সময় অসাধু চক্র নজরে এসেছে রাজ্যের। ইতিমধ্যে অসাধু ওই চক্রের কাছ থেকে কেনা ধানের দাম হিসাবে যে টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, তা-ও চিহ্নিত করে আটকানোর কাজ করেছে খাদ্য দফতর। এবার প্রথম থেকেই শক্ত হাতে এই ধরনের চক্রকে ভাঙতে নতুন পথ অবলম্বন করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সূত্র অনুযায়ী খবর, কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনায় আরও স্বচ্ছতা আনতে আগামী জুলাই মাস থেকেই আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছ থেকে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেতও পেয়ে গিয়েছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। আগামী জুলাই মাস থেকে স্থায়ী এবং অস্থায়ী সব ধান ক্রয় কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব পারচেজ (ই-পস) যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। যেখানে কৃষকদের আধার নম্বরের সঙ্গে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর তাঁদের থেকে ধান কেনা হবে। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের কথায়, ই-পস মেশিনে আধার নম্বর এবং বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করলেই ধান বিক্রেতা প্রকৃত কৃষক কি না, তা সহজেই জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, কৃষি ও ভূমি দফতরের পোর্টাল ব্যবহার করে খাদ্য দফতর ওই কৃষক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতে পেয়ে যাবে। খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধু জুলাই মাসেই নয়, আগামী নভেম্বর মাসে নতুন খরিফ মরশুমেও এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই ধান কেনা হবে। প্রকৃত কৃষকের বাইরে আর কেউ ধান বিক্রির সুযোগ পাবেন না। সরকারি সংস্থা, কৃষি সমবায় সংস্থা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মতো যারা অস্থায়ী শিবির খুলে সরকারের হয়ে ধান কেনে, তাদেরও স্ক্যানার কিনে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ধান কেনার সময় কৃষকের উৎপাদন ক্ষমতাও দেখবে খাদ্য দফতর। কারণ খাদ্য দফতর অনেক সময় দেখেছে, জমির পরিমাণ যা, তার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ ধান বিক্রি করছেন কৃষকেরা। প্রকৃত কৃষকদের কাজে লাগিয়ে যাতে ফড়ে চক্র খাদ্য দফতরে সক্রিয় না হতে পারে সে দিকেও সজাগ দৃষ্টি রয়েছে আধিকারিকদের। তাই ভূমি ও কৃষি দফতরের পোর্টাল ব্যবহার করে ওই কৃষকের জমির পরিমাণ এবং তাঁর এলাকায় কত হারে ধান উৎপাদন হয়েছে, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে রাজ্য।