সূর্যমুখী বীজের এমএসপি বাড়াতে হবে। এই দাবি তুলে দিল্লিগামী জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন হরিয়ানার কৃষকরা। অন্নদাতাদের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল রাজ্যের কুরুক্ষেত্র। অবশেষে তাঁদের দাবি মানতে বাধ্য হল হরিয়ানার বিজেপি সরকার। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত মঙ্গলবার সন্ধেবেলা জানিয়ে দেন, যে হরিয়ানা সরকার তাঁদের দাবি মেনেছে। গ্রেফতার হওয়া কৃষক নেতারা মুক্তি পাবেন এবং তাদের ওপর চাপানো কেস তুলে নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ৩৬ হাজার ৪১৪ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষের জন্য ৮ হাজার ৫২৮ জন কৃষককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৯ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। সূর্যমুখী বীজের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের ক্ষতিপূরণ ঘোষণায় কৃষকরা খুশি হননি। এমএসপির কম দরে সূর্যমুখী বীজ বিক্রি করলে সরকার অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে কুইন্টাল প্রতি ১ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছে।
কৃষকদের দাবি, সূর্যমুখী চাষ করে তাঁদের লাভ হয়নি। রাজ্য সরকারকে প্রতি কুইন্টাল ৬ হাজার ৪০০ টাকা দরে এমএসপিতে সূর্যমুখীর বীজ সংগ্রহ করতে হবে। এরপরই সূর্যমুখী বীজের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে কুরুক্ষেত্র জেলার পিলপি গ্রামে মহাপঞ্চায়েতে হরিয়ানা ছাড়াও পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যের কৃষকনেতারা ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন।
পিপলি শস্য বাজারে ‘এমএসপি দিলাও, কিষাণ বাঁচাও’ দাবিকে কেন্দ্র করে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের রাকেশ টিকায়েতসহ অন্যান্য কৃষক নেতাদের সঙ্গে কুস্তিগির বজরং পুনিয়াও ছিলেন সেখানে। প্রসঙ্গত, কুস্তিগিরদের আন্দোলনে, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষকরাও।