আইপিএল চলাকালীন পেয়েছিলেন চোট। তারপর উরুতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় তাঁর। এবার জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন কেএল রাহুলের। মঙ্গলবার রাতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) রিহ্যাব করতে গেলেন ভারতীয় দলের ওপেনার। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ। তার পরেই হবে বিশ্বকাপ। সে দিকেই নজর রয়েছে রাহুলের। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক রাহুল। মরসুমের শেষ দিকে চোট পেয়ে ছিটকে যান। গত ৫ই মে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাহুলের ছিটকে যাওয়ার খবর জানানো হয়। ফলে আইপিএলের প্লে-অফ খেলতে পারেননি। দেশের হয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও খেলা হয়নি। এর পরে ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। মঙ্গলবার রাতের দিকে এনসিএ-তে যোগ দেওয়ার খবর সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এক দিনের ক্রিকেটে মাঝের সারিতে ব্যাট করেন রাহুল। তার থেকেও বড় ব্যাপার, ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে উইকেটকিপার হিসাবে তাঁকে খেলানো যেতে পারে। সে কারণেই রাহুলের সুস্থ হয়ে ওঠাটা প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তবে, রাহুলের উপরেই নির্ভর করছে, কত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় চোট পান লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক। তারপর আর ফিল্ডিং করতে পারেননি। দলের ফিজিয়োর সঙ্গে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়েছিলেন। পরে হারের মুখে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রাহুল। তাঁর চোট পরীক্ষার পর গত ৩রা মে আইপিএলের লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির পক্ষে জানানো হয় রাহুল আর প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবেন না। ৫ই মে সমাজমাধ্যমে রাহুল লেখেন, ‘‘আমি খুব হতাশ। আগামী মাসে ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারব না। ভারতের জার্সিতে আবার খেলার জন্য যা যা করতে হবে করব। আমার এখন একটাই লক্ষ্য, ভারতের জার্সিতে দ্রুত মাঠে নামা।” ৮ই মে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কেএল রাহুলের বদলি ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করে দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দলে নেওয়া হয় ঈশান কিষাণকে। ১০ই মে সমাজমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান রাহুল। ‘‘আমার অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। সে সময় বেশ স্বস্তিতেই ছিলাম। সব কিছু মসৃণ ভাবে হওয়ার জন্য চিকিৎসক এবং নার্সদের ধন্যবাদ। এখন আমি সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। আবার সেরা ছন্দে মাঠে ফিরে আসার ব্যাপারে আমি বদ্ধপরিকর’’, জানান ভারতীয় ওপেনার।