কেন্দ্রের আশ্বাসের পর সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত রাখলেও ফের কড়া বার্তা দিলেন কুস্তিগিররা। এবার সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটরা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন যে, তাঁদের দাবি মানা না হলে, চলতি বছর এশিয়ান গেমস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন না তাঁরা। প্রসঙ্গত, যৌন হেনস্থার অভিযোগে জোড়া এফআইআর দায়ের হয়েছে জাতীয় কুস্তি ফেডারেশন সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁকে পদ থেকে সরানো কিংবা গ্রেফতারির মতো কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতেও কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে গত বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করেন সাক্ষী, ভিনেশরা। তারপরই তাঁরা জানিয়েছিলেন, ১৫ই জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে সমস্ত তদন্ত শেষ করতে হবে। তাই সাক্ষীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আন্দোলনের গতিকে কোন দিকে নিয়ে যাবেন, তা নিয়ে ১৫ই জুনের পরই সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরব হন দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা। দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্রেফতার করতে হবে তাঁকে। কুস্তিগিরদের এই অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের উদাসীন মনোভাব ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। নিন্দায় মুখর হয়েছে একাধিক মহল। বিরোধীরা সুর চড়িয়েছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। শনিবার হরিয়ানার সোনিপথে খাপ নেতাদের সঙ্গে মহাপঞ্চায়েত বসিয়েছেন সাক্ষী এবং বজরং পুনিয়া। সেখানেই ২০১৬ অলিম্পিকে পদকজয়ী সাক্ষী মালিক কেন্দ্রকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলে দেন, “সমস্ত সমস্যা মিটে গেলে তবেই এশিয়ান গেমসে অংশ নেব। প্রতিদিন আমরা কী মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, আপনারা ধারণাও করতে পারবেন না।” পাশাপাশি সাক্ষী জানান, যতদিন না সুবিচার পাচ্ছেন, একসঙ্গেই তাঁরা অনড় রইবেন প্রতিবাদে।