অগ্নিদগ্ধ রোগীদের ‘ওপেন সারফেস স্কিন’। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। সিসিইউতে থাকা অন্য রোগীদের থেকে জীবাণু ছড়াতেই পারে। আবার উলটোটাও হতে পারে। অগ্নিদগ্ধ রোগীর থেকে সংক্রমিত হতে পারেন সিসিইউতে থাকা মুমূর্ষু রোগীরা। সে ক্ষেত্রে তাঁদের জীবন সংশয় পর্যন্ত তৈরি হয়। এই ‘ক্রস ইকফেকশন’-এর ভয়েই সরকারি হাসপাতালের সিসিইউ-তে অগ্নিদগ্ধ রোগী রাখা হয় না। আবার বেসরকারি হাসপাতালে সিসিইউ-তে রেখে রোগীকে চিকিৎসা করানোর খরচ আকাশছোঁয়া। তবে এবার অগ্নিদগ্ধ রোগীদের জন্যে সিসিইউ পরিষেবার ব্যবস্থা হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে। এ বিষয়ে পথ দেখিয়েছে টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতাল।
এখানে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক দু’টি বার্ন ইউনিট আছে। একটিতে ৩৬টি শয্যা, অন্যটিতে ৩৪টি। সবমিলিয়ে ৭০টি বেড এখানে। এর মধ্যে ৬-৭টা ডরমেটরি বেড বাদ দিলে বাকিগুলি কেবিন। এবার দগ্ধ রোগীদের জন্যে আলাদা সিসিইউ চালু করল বাঙুর। দোতলায় মূল সিসিইউ’র উলটোদিকে এই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট খোলা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার ডাঃ শিশির নস্কর জানিয়েছেন, ‘ক্রস ইনফেকশন’-এর ভয়ে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের অন্য রোগীদের সঙ্গে রাখা যায় না। ফলে ফলে দগ্ধ রোগীরা সংকটজনক হয়ে পড়লে সমস্যা হচ্ছিল। এবার সিসিইউতে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল। জানা গিয়েছে, নতুন ইউনিটের দায়িত্বে থাকবেন সিসিইউ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুরঞ্জন সান্যাল।