বিদেশের মাটিতে ব্যাটিং বিপর্যয়কে কার্যত অভ্যাসের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালেও তার অন্যথা হল। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ ভারতের টপ অর্ডার। যার ফলে দ্বিতীয় দিনের শেষেও ম্যাচের রাশ রইল অজিদের হাতেই। দিনের শেষে ভারতের রান পাঁচ উইকেটে ১৫১। ক্রিজে রয়েছেন অজিঙ্কে রাহানে (২৯) এবং ভরত (৫)। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছন্দে নেই। আইপিএলের সময়তেই তাঁকে নিয়ে সমালোচনা চলছিল। এদিন প্যাট কামিন্সের বলে তিনি ফিরলেন মাত্র ১৫ রানে। আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন শুভমন গিল। কিন্তু বিলেতে তিনি ব্যর্থ। তাঁকে বোল্ড করেন বোল্যান্ড। তাঁর আগে অবশ্য কামিন্স এলবিডব্লিউ করেন রোহিতকে। চেতেশ্বর
চেতেশ্বর পূজারার আউট হলেন ক্যামেরন গ্রিনের বলে। মিচেল স্টার্কের চকিতে উঠে আসা বল বিরাটকে ফেরত পাঠাল প্যাভিলিয়নে। যন্ত্রণাকাতর বিরাটের প্রতিক্রিয়া বলে দিচ্ছিল, তিনি ব্যথিত। ততক্ষণে ৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ভারত।
এরপর ভারতকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন অজিঙ্কে রাহানে এবং রবীন্দ্র জাদেজা। পঞ্চম উইকেটে ৭১ রান জুড়লেন তাঁরা। জাদেজা যখন পঞ্চাশের দোরগোড়ায়, ঠিক তখনই নাথান লিয়নের ডেলিভারিটা তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে স্মিথের হাতে জমা পড়ল। এরপর ব্যাট করতে নামেন শ্রীকর ভরত। দিনের শেষে রাহানের সঙ্গে ক্রিজে অপরাজিত হয়েছেন তিনি। এদিন দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত ১৬৩ রানে হেডকে আউট করেন সিরাজ। স্মিথ শার্দূল ঠাকুরের শিকার। ক্যামেরন গ্রিন বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও অ্যালেক্স ক্যারি প্রযোজনীয় ৪৮ করে যান। অস্ট্রেলিয়ার টেলএন্ডাররা অবশ্য পাঁচশো পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারেননি দলকে। ৪৬৯ রানে শেষ হয়ে যায় অজিদের প্রথম ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফল মহম্মদ সিরাজ। তিনি চারটি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন মহম্মদ শামি এবং শার্দূল ঠাকুর।