গত শনিবারই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন। চলন্ত ট্রেনের সামনে স্ত্রীকে নিয়ে ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃতদের নাম বাবাই সরদার এবং তার স্ত্রী মামনি সরদার। ঘটনার ফলে স্বাভাবিকভাবেই চরম অন্ধকারের সামনে এসে দাঁড়ায় তাঁদের দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সেই দুটি সন্তানের সমস্ত ভার নিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এলাকাবাসীর বক্তব্য, বাজারে বেশ কিছু ধার দেনা হয়ে গিয়েছিল, আর সেই দেনা মেটানোর জন্য বিভিন্ন বাড়িতে আয়ার কাজ করতেন মামনি। কিন্তু তাঁর স্বামী বাবাই পরবর্তী সময়ে তাঁকে সন্দেহ করতে শুরু করে। আর এই সন্দেহের পরিণতিই মর্মান্তিক মৃত্যু। নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে বাবাই নিয়ে যায় তার স্ত্রী মামণিকে।
এরপর যখন দক্ষিণেশ্বর মুখী একটি ট্রেন আসছিল, সেই সময় প্রায় পাঁজাকোলা করে বাবাই, মামণিকে নিয়ে ঝাঁপ দেয় রেললাইনে। অতর্কিত ভাবে এই ঝাঁপ দেওয়ার ফলে, গাড়ির গতি কম থাকলেও গাড়ি পুরোপুরি থামাতে ব্যর্থ হয় মেট্রোচালক। ঘটনাস্থলে প্রাণ যায় দুজনের। বাড়িতে দুটি ছেলে আছে তাঁদের। একজনের বয়স ১৫ বছর আরেকজনের বয়স মাত্র ৭ বছর। রাজ্যের মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু এবং স্থানীয় কাউন্সিলর গোপা পান্ডে উদ্যোগ নিয়ে, এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান। আগামীদিনে ছেলেদুটির সমস্ত দায়িত্ব নেওয়া হবে, এমনই প্রতিশ্রুতি দেন ব্রাত্য।
