রাজধানীর বুকে এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনরত কুস্তিগিররা। এবার এই আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন টুইটে তিনি জানান, বিজেপি সাংসদ তথা ভারতীয় কুস্তি ফেডারশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি নিরাপদে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘সুরক্ষাকবচে’। রাহুলের কথায়, “২৫টি আন্তর্জাতিক পদক জয় করা দেশের মেয়েরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছেন। আর দু’টি এফআইআর-এ ১৫টি যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত সাংসদ প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষাকবচের বলে সুরক্ষিত। দেশের মেয়েদের এই পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকার দায়ী।” আজ সকালে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তুলে এনেছেন। “নরেন্দ্র মোদীজি এই অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগগুলি পড়ে দেখুন। দেশকে বলুন, কেন এখনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি”, জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। দিল্লী পুলিশের কাছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে এফআইআর করেন কুস্তিগিরেরা। বেশ কিছু মহিলা কুস্তিগির জানান, তাঁদের উপরে কী ভাবে যৌন নির্যাতন করেছেন ব্রিজভূষণ। ৯ই জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন কৃষক নেতারা। শুক্রবার হরিয়ানায় মহাপঞ্চায়েত শেষেই কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রকে। পাশাপাশি যন্তর মন্তরে আন্দোলনে বসার কথাও বলেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচনায় বিঁধে টুইট করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল। তিন লিখেছেন, “পাহাড়প্রমাণ অভিযোগ, জনতার ধিক্কার সত্ত্বেও ব্রিজভূষণ সিংহকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী চুপ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চুপ, বিজেপি চুপ, আরএসএস চুপ। ফলে যাঁরা তদন্ত করছেন তাঁদের কাছে বার্তা স্পষ্ট। ‘সব কা সাথ’ নয়, ব্রিজভূষণকা সাথ!” আমেরিকাকে সতর্ক করার ভঙ্গিতে রাহুল আজ বলেন, ভারতের গণতন্ত্র ভেঙে পড়ার মুখে এবং তার প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে। আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের জন্য যা ইতিবাচক ইঙ্গিত নয়। মার্কিন সফরে গিয়ে প্রতিদিনই মোদী সরকারকে বিঁধছেন রাহুল। কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায়, কখনও প্রেস ক্লাবে বা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে সম্মেলনে শাসকদল বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন তিনি। “ভারতে গণতন্ত্র রক্ষার্থে লড়াই আমাদের কাজ ও দায়িত্ব। এটা আমরা বুঝেছি ও মেনে নিয়েছি। ভারতের গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বের মঙ্গল প্রশ্ন জড়িয়ে। ভারতে গণতন্ত্রের পতন হলে গোটা বিশ্বে তার প্রভাব পড়বে। ফলে আপনারাই ভেবে দেখুন ভারতের গণতন্ত্রকে কতটা গুরুত্ব দেবেন”, বক্তব্য কংগ্রেস নেতার।