রাজ্যজুড়ে ক্রমশ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। পাশাপাশি আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিতে জেরবার আমজনতা। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ যদিও তাপমাত্রা খানিক কমেছে। আজ সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সামান্য তাপমাত্রা কমলেও গরমের প্রকোপ থেকে রেহাই নেই রাজ্যবাসীর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আজ সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। আজ সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৭ শতাংশ। বাতাসে সর্বনিম্ন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৭ শতাংশ। এই অত্যধিক পরিমাণে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির জন্যই ভীষণভাবে ঘাম হচ্ছে।
বাংলায় কবে বর্ষা আসবে, তার এখনই কোনও সুস্পষ্ট পূর্বাভাস দিতে পারেননি আবহবিদরা। বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এই সকল জেলায় রবি-সোমবারের মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার পাশাপাশি তাপপ্রবাহের সর্তকতাও দিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলাতে তাপপ্রবাহ সতর্কবার্তা রয়েছে। কলকাতায় যদিও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবার তাপপ্রবাহের সতর্কতাও দেয়নি আবহাওয়া দফতর। তবে চরম অস্বস্তি থাকবে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। রবি ও সোমবার এই পরিস্থিতি চরমে উঠবে। ৬ ও ৭ই জুন আরও ঊর্ধ্বগামী হবে পারদ। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং, কালিম্পংয়েও আজ ও আগামীকালের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিন দিনের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।