নারীনিরাপত্তা, নারীসুরক্ষা ও নারীস্বাধীনতার প্রসঙ্গ এলেই লজ্জায় মুখ পোড়ে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের। বিগত বছরগুলিতে এই রাজ্যটিতে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনায় শিউরে উঠেছে দেশবাসী। এবার ফের তেমনই এক কাণ্ড অবাক করল দেশের শীর্ষ আদালতকে। সম্প্রতি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের একটি মামলায় নির্যাতিতা মাঙ্গলিক কি না, এই বিষয়ে জ্যোতিষীদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট! এরপর পাল্টা শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন তরুণী। সেই মামলাতেই শনিবার হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হাই কোর্টের এমন নির্দেশ দেওয়া উচিত হয়নি।
উল্লেখ্য, হাই কোর্টের নির্দেশে প্রবল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মূল মামলায় তরুণী অভিযোগ জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন। শুনানিতে অভিযুক্তের আইনজীবী যুক্তি দেন, তরুণী মাঙ্গলিক বলেই বিয়ে করতে রাজি হননি তাঁর মক্কেল। মাঙ্গলিক ‘দোষ’ থাকলে বিয়ে নাকি সুখের হয় না! এরপরই অভিযোগকারিণী মাঙ্গলিক কি না, তা জানতে চেয়ে জ্যোতিষীদের কাছে রিপোর্ট চায় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। এমনকী অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তিও দেওয়া হয়েছিল। যদিও হাল ছাড়েননি তরুণী। পুরো ঘটনা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন তিনি। মামলা ওঠে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের অবকাশকালীন বেঞ্চে। ‘মাঙ্গলিক’ বিষয়টিকে নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে অবাক হন বিচারপতিরা। তাঁরা মন্তব্য করেন, মাঙ্গলিক বিষয়টির সঙ্গে আইনি বিচারের কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়াও মাঙ্গলিক কি না জানতে চাওয়া নিয়ে ব্যক্তির গোপনীয়তারও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।