দেশের শীর্ষ কুস্তিগিররা রাস্তায় বসে আছেন তাঁর বিরুদ্ধে। আদালতে, পুলিশে দায়ের হয়েছে একাধিক অভিযোগ। তবু কার্যত বহাল তবিয়তেই আছেন বিজেপি সাংসদ, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং। এখনও অবধি তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কুস্তিগিররা গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি অবধি দিয়েছেন, অথচ তাও শাসক দল বিজেপি তাঁকে নিয়ে অনড়।
ব্রিজভূষণের এত ক্ষমতার উৎস কী? কেনই বা তাঁর টিকি ছুঁতে এত ইতস্তত করছে পুলিশ থেকে প্রশাসন সবাই? ১৯৯৩ সালের ২৪ অক্টোবর দিল্লির জামা মসজিদ এলাকা থেকে আহমেদ মনসুর ও সুহেল আহমেদ নামক দু’জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযোগ, তারা দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং-এর সক্রিয় সদস্য। সেই বছরই মুম্বইয়ে সিরিয়াল বিস্ফোরণে কেঁপে গিয়েছে সারা দেশ। সিবিআই তদন্তে জানা যায়, এই দু’জনকে দিল্লির সফদরজং এলাকায় এনটিপিসি গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছিল।
অভিযোগ, এই যে থাকার ব্যবস্থা, এটা করা হয়েছিল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কল্পনাথ রাইয়ের সহযোগিতায়। সিবিআই তদন্তে আরও জানা যায়, কল্পনাথের ব্যক্তিগত সচিব এসপি রাই এই বন্দোবস্ত করেছিলেন। ওই একই তদন্তে বেরিয়ে আসে, তৎকালীন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং তাঁর বাসভবনে ঐ গ্রুপেরই কিছু উগ্রপন্থীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
শুরুতে, সিবিআই সরাসরি তাঁর নাম নেয়নি। কিন্তু তদন্ত এগোলে আর সেটা আড়ালে রাখা যায়নি। শেষে ‘সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে’ ব্রিজভূষণের নাম উঠে আসে। সিবিআই এবার কল্পনাথ রাই, এস পি রাই এবং ব্রিজভূষণ, তিনজনের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করার কথা বলে। ব্রিজভূষণ ১৯৯৬ সালে আত্মসমর্পণ করেন। কুখ্যাত ‘টাডা’ (টেররিস্ট অ্যান্ড অ্যান্টি ডিসরাপ্টিভ অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেন্টিভ অ্যাক্ট) আইনে তাঁকে আটক করা হয়।
এইবার একটা ‘মজার’ তথ্য দেওয়া যাক। মাত্র এক বছর আগে, ১৯৯২ সালে ধ্বংস হয়েছিল বাবরি মসজিদ। তাতে অভিযুক্ত করসেবক হিসেবে নাম ছিল ব্রিজভূষণের।