উড়িষ্যা ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার জন্য রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করলেন তিনি।
শনিবার সকাল ১২.৩৫ নাগাদ হেলিকপ্টারে বালেশ্বরে পৌঁছে যান মমতা। হেলিপ্যাডে নেমে বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে সোজা চলে যান ঘটনাস্থলে। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। এরপরই নিহতদের পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে ঘোষণা করেন তিনি। আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, বাংলা থেকে আড়াইশোরও বেশি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ জন ডাক্তার ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। এছাড়াও বাংলার যাত্রীদের বাড়ি ফেরাতে বাস পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। উড়িষ্যা সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এই দুর্ঘটনাকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা’ আখ্যা দিয়ে রেলকে তোপ দাগতেও ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পাশে দাঁড়িয়েই বলে দেন, ‘আমি তিন বছর রেলমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু এখন মনে হয় রেলে নিজেদের মধ্যে কোনও কো-অর্ডিনেশন নেই। কীভাবে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটল তার ভাল করে তদন্ত হোক’।
পাশাপাশি তাঁর আশঙ্কা, আপাতত মৃতের সংখ্যা ২৬১ বলা হলেও এই সংখ্যা পাঁচশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে রেলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হলেও রেলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামলাতে সবরকম সহযোগিতা করবে বাংলার সরকার।