নরেন্দ্র মোদীর আমলে বারবার নানান বিতর্কের মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। উঠেছে নানান অভিযোগ। সংশয়ের সম্মুখীন হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তা। এবার ফের ঘটল তেমনই ঘটনা। ডাউন কালকা মেলে ২৫ জন যাত্রীর সর্বস্ব চুরি গেল। রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ যাত্রীদের। অর্থাৎ, এসি কামরাতেও যাত্রীদের নিরাপত্তার পরিস্থিতি শিকেয়ে উঠেছে। ৩১শে মে রাতে কালকাজি স্টেশন থেকে ডাউন কালকা হাওড়া মেলের এসি থ্রি টায়ার কামরা বি ৪-এ হাওড়া ফিরছিলেন কলকাতার ২৫ জন যাত্রী। এরা সবাই স্কুল এবং কলেজে গরমের ছুটি থাকায় সপরিবারে শিমলা এবং মানালি বেড়াতে গেছিলেন। ১ জুন ভোর ৬ টা নাগাদ যখন কামরার ভিতর সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন, সেই সময় কেউ বা কারা কামরার ভিতরে ঢুকে আসে। সেই সময় এই যাত্রীদের সবার হ্যান্ডব্যাগ খুলে মোবাইল, ঘড়ি, মানিব্যাগ সহ সমস্ত দামী জিনিস চুরি করে। পৌনে ৭টা নাগাদ এদের মধ্যেই একজনের ঘুম ভাঙে এক আরপিএফ কর্মীর ডাকে। তিনি বলেন, ভালো করে লাগেজ চেক করে দেখুন সব ঠিকঠাক আছে কিনা। এরপর এই ২৫ যাত্রী আবিষ্কার করেন, তাদের মাথার কাছে রাখা হ্যান্ডব্যাগের চেন খোলা। সন্দেহ হওয়ায় ভিতরে পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, দামী যা কিছু ছিল, সব উধাও!
ঘটনার পর তড়িঘড়ি টিটিকে খবর দেওয়া হয়। টিটি ডেকে আনেন কর্তব্যরত আরও ২ আরপিএফ কর্মীকে। কিন্তু দিশেহারা যাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারও করা হয়নি বলে অভিযোগ। যাত্রীদের প্রশ্ন, আরপিএফ এর ওই কর্মী কি কামরা থেকে কাউকে নামতে দেখেছিলেন? তিনি আগেই কিভাবে বুঝলেন, চুরি হতে পারে? একটি বাতানুকূল সংরক্ষিত কামরা থেকে উটকো লোক নামতে দেখেও তাকে আটকানো হল না কেন? তাঁদের আরও প্রশ্ন, যখন এই ব্যক্তি ভিতরে ঢুকল, তখন আরপিএফ এর নজর এড়িয়ে গেল কিভাবে? বৃহস্পতিবার গোটা ঘটনার জেরে মানসিকভাবে ক্লান্ত থাকায় শুক্রবার সকালে ফের এই ২৫ যাত্রী হাওড়া স্টেশনের জিআরপি থানায় আসেন। সেখানে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানান এই ঘটনার বিষয়ে। এবিষয়ে হাওড়া জিআরপি জানিয়েছে, বিষয়টি তাদের এলাকার মধ্যে পড়েনা। তবে তারা ঘটনা যেখানে ঘটেছে, তার নিকটবর্তী স্টেশনের জিআরপি-কে বিষয়টি গুরুত্ব-সহকারে দেখতে বলেছেন তাঁরা।