একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই শনির দশা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। দলত্যাগের হিড়িক, গোষ্ঠীকোন্দল তো ছিলই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেহাল দশা সংগঠনেরও। যার ফলস্বরূপ নীচতলায় কার্যত বিলুপ্তপ্রায় দলে পরিণত হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাই এ হেন পরিস্থিতিতে দিল্লিতে দরবার করার বদলে বিধায়ক, সাংসদদের নিজের নিজের কেন্দ্রের সংগঠন দেখার ফরমান জারি করল শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্যে নেতাদের প্রায়শই দিল্লি ছুটতে দেখা যায়। খবর মেলে, ইডি, সিবিআই বা কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়ার মতো অনুরোধ নিয়ে তারা রাজধানী সফরে যান। এ ঘটনায় বেজায় চটেছেন মোদী-শাহরা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও দলীয় পদে থাকলেও নিজের লোকসভা কেন্দ্র এবং বিধানসভা আসনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। নিজ নিজ কেন্দ্রে সংগঠনের হাল কেমন, তা নিয়ে নিয়মিতভাবে খোঁজ নিতে হবে। সাংগঠনিক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
বঙ্গ বিজেপির সংসদ ও বিধায়ক, যারা দলের রাজ্য পদাধিকারীর দায়িত্বও সামলাচ্ছেন, তাদের জন্য এই মর্মেই বিশেষ বার্তা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নেতৃত্বের স্পষ্ট হুঁশিয়ার, দলে নিজের পদ অক্ষুণ্ণ রাখতে চাইলে, নিজের নিজের কেন্দ্রে সময় দিতেই হবে। বলাবাহুল্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সব রাজ্য কমিটির জন্য এমন বার্তা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে বাংলায় মূল উদ্দেশ্য দলীয় সংগঠনকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শাহ বাংলায় ৩৫টি আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন। বঙ্গ বিজেপির পদাধিকারীরা, জনপ্রতিনিধিরা যেন কলকাতায় বসে সাংগঠনিক কাজকর্ম না করে, এলাকায় যান, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সাফ বলে দেওয়া হচ্ছে, অধিবেশন বা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছাড়া অযথা দিল্লিতে বসে থাকার প্রয়োজন নেই দলীয় সাংসদদের। একইভাবে পদাধিকারী বিধায়করাও যেন নিজের আসনের সংগঠনের কাজ করেন, সে বার্তাও দেওয়া হয়েছে।