পকসো আইনের অপব্যবহার হচ্ছে দেশজুড়ে। তার ফল ভুগতে হচ্ছে শিশু থেকে ভবিষ্যৎদ্রষ্টা সাধুসন্ত সকলকেই। এখন সরকারকে চাপ দিয়ে এই আইন বদলাতে হবে। অযোধ্যায় শক্তি প্রদর্শনী সভার প্রস্তুতিতে এমনই বলেছেন কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিং। প্রসঙ্গত, তাঁর বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। পকসো আইনেও মামলা দায়ের হয়েছে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরে ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্ণায় বসেছেন দেশের প্রথমসারির কুস্তিগিররা। যৌন হেনস্তার দায়ে তাঁকে অবিলম্বে আটক করা হোক, এই দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা। বাধ্য হয়ে রাস্তাতেই আগামী টুর্নামেন্টে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পকসো-সহ দুটি মামলা দায়ের হলেও এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিজেপি সাংসদ বলেই কি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নও উঠছে।
বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘পকসো আইনের অপব্যবহার চলছে। শিশু, বৃদ্ধ, সাধু সকলেই এর ভুক্তভোগী। এমনকি আধিকারিকরাও এই অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত। তবে এবার বদলাতে হবে এই আইন। সাধুসন্তদের নেতৃত্বে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন এই আইন পালটানো হয়। কোনও পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়াই পকসো আইন পাশ করিয়েছিল কংগ্রেস সরকার’। ব্রিজভূষণের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ।