মোদী সরকারের বিভিন্ন অদূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বারবার বিড়ম্বনার কবলে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষ। যেমন, চাকুরীজীবীদের অন্যতম সম্বল পিএফ নিয়েও সমস্যার শেষ নেই। দফায় দফায় পিএফ অফিসে ঘুরেও প্রাপ্য টাকা উদ্ধার করতে পারছেন না অনেকেই। এমন বহু মানুষ আছেন, যারা শেষ পর্যন্ত পিএফের টাকা উদ্ধার করতে পারেননি। এর প্রধান কারণ দফতরের গাফিলতি ও অজুহাত। অনলাইন ব্যবস্থার কারণে এখন পিএফের টাকা পাওয়া অনেকটাই সহজ, কিন্তু এই পদ্ধতিতে অনেকেই পারদর্শী নন। ফলে এহেন সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। পাহাড়প্রমাণ দাবিহীন টাকা পড়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জমতে জমতে এই টাকার মোট পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। ইপিএফওর হিসেব বলে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে দাবিহীন অর্থের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। যদিও বছর পাঁচেক আগে অঙ্কটা ছিল ১ হাজার ৩৪৫ কোটি। কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্যের কথায়, দাবিহীন বিপুল অর্থ ইপিএফও বাজারে খাটিয়ে সুদ আদায় করছে। ওই টাকা কাদের, কে টাকার নমিনি, সেসব যাবতীয় তথ্য দফতরের কাছেই রয়েছে। ইচ্ছে করলেই তারা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। তিনি এই দাবিতে সরব হলেও মিলছে না সুরাহা। দিন দিন দাবিহীন অর্থের পাহাড় জমছে। প্রাপ্য টাকা না পেয়ে ন্যায্য প্রাপকরা কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।