শনিবার প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়েই বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, “একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দুকে ডাকা হচ্ছে না। অথচ, বারবার আমাকে ডাকা হচ্ছে। অহেতুক হেনস্তা করা হচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, কার সঙ্গে সেটিং আছে।” অভিষেকের বক্তব্য, “তৃণমূল করলে এক রকম নিয়ম, আর বিজেপি করলে আরেক রকম আইন। সারদার প্রাইম এফআইআর নেমড শুভেন্দু অধিকারী। কতবার ডেকেছে? গ্রেপ্তার হয়েছে? শুভেন্দু বিজেপির সম্পদ? দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া গেল প্রসন্নর বাড়িতে। সে বিজেপির সম্পদ?”
কেবল শুভেন্দুই নয়, অন্য বিরোধী নেতাদের ক্ষেত্রেও সিবিআই দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। তিনি বলছেন, “আমায় ডাকল কুন্তল ঘোষের চিঠিতে নাম আছে বলে। তাহলে সারদা কর্তার চিঠিতে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরীকে ডাকা হবে না কেন? সুদীপ্ত সেন চিঠিতে লিখেছে তো।” এদিন আরও একটি বিস্ফোরক দাবি করেছেন অভিষেক। “আমায় যে নামগুলো জিজ্ঞাসা করেছে, এদের চেনেন? ৯০% এজেন্টের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদে। সে সময় এই এলাকায় দলের তরফ থেকে কে ছিল। ধরে নিলাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী। কিন্তু কে দায়িত্বে ছিল? এভাবে ডেকে ডেকে সময় নষ্ট। আর কেউ গাড়িতে মানুষ মেরে যাবে তাকে ডাকা হবে না?”, সিবিআইয়ের জেরা প্রসঙ্গে প্রশ্ন অভিষেকের।