বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু পাকিস্তানের কোনও প্রথমসারির নেতাই পূর্ব পাকিস্তানে পাক সেনার নির্মম অত্যাচার, আওয়ামী লিগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও শেখ মুজিবুরকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চাননি। কিন্তু গত শনিবার পাক সুপ্রিম কোর্টের আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দফায় দফায় মুখে ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লিগ ও শেখ মুজিবুরের কথা শোনা গিয়েছে ইমরান খানের মুখে। তিনি বলতে চাইছেন সেদিন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ, আওয়ামী লিগ এবং শেখ মুজিবুরের সঙ্গে যে আচরণ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকেরা করেছিলেন আজ পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ পার্টি, সেই দলের সমর্থক এবং তাঁর প্রতি একই আচরণই করছে বর্তমান পাক সরকার।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লিগ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হলেও শেখ মুজিবুরকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়নি। তার ফলে পূর্ব পাকিস্তানকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। ইমরান ফের দেশে সিভিল ওয়ার বা গৃহযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিন্ধপ্রদেশ এবং বালুচিস্তানের কথা ইঙ্গিত করে। পাক প্রশাসনে পাঞ্জাবিদের কর্তৃত্ব থেকে মুক্তি পেতে আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন চলছে সিন্ধ এবং বালুচিস্তানে। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, তাঁর দাবি অগ্রাহ্য করে যেভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার অবশ্যম্ভাবী ফল হল গৃহযুদ্ধ। ইমরান বলেন, ‘আন্ডার নাইনটিন ম্যাচ খেলতে ঢাকা গিয়েছিলাম। সেটা ১৯৭১-এর মার্চের ঘটনা। অশান্তির কারণে ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হল। বিমানে আমরা পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে এলাম। পরে জেনেছি, সেটাই ছিল শেষ অসামরিক বিমান যা ঢাকা থেকে করাচি, রাওয়ালপিন্ডির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।’