প্রাথমিকে ‘অপ্রশিক্ষিত’ ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন চাকরিহারারা। শুক্রবার ছিল ওই মামলার শুনানি ছিল।
সেই মামলাতেই বিরাট নির্দেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন প্রাথমিকে ‘অপ্রশিক্ষিত’ ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশর উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে।
চাকরিহারাদের পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করে জানান, আদালতের নির্দেশেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তাদের কোনও তদন্তের রিপোর্টে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি, যার জন্য ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিতে হবে। যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেয়নি আদালত। তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই চাকরি বাতিলের এত বড় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের তরফে এই যুক্তিও দেওয়া হয় যে, পর্ষদের সেই সময়কার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, নিয়োগের ২ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হবে প্রার্থীদের। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই অপ্রশিক্ষিত হিসাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। ফলে এ ক্ষেত্রে আইন ভেঙে কোনও নিয়োগ হয়নি বলে দাবি চাকরিচ্যুতদের একাংশের।
ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিবাতিলের বিপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়েরর পুরনো একটি মন্তব্যকেও তুলে ধরা হয় চাকরিহারাদের তরফে। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন গত ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি বলেছিলেন, ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’। চাকরিচ্যুতদের দাবি, সেই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার, চাকরি বাতিল করা আগে থেকেই স্থির ছিল।