মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝিকে ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাধ্যমিকে ৭০০-তে ৬৯৭ পেয়েছেন তিনি। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিয়েক মিনিট দেবদত্তার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে দেবদত্তা কী হতে চান, তাঁর কী নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছা… সেই সব বিষয়েও খোঁজখবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু দেবদত্তাকেই নয়, আরও অনেক কৃতী পরীক্ষার্থীকেই ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাধ্যমিকে যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছেন মালদার রিফাত হাসান সরকার। মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের রিফাত মাধ্যমিকে ৭০০-তে ৬৯১ পেয়েছেন। তাঁর বাড়িতেও ফোন গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। রিফাতের বাবা লিয়াকত আলি সরকারের মোবাইলে ফোন করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিফাতের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলর আশিস কুণ্ডুও।
মাধ্যমিক পরীক্ষা হল পড়ুয়াদের শিক্ষা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। এবারের মাধ্যমিকে প্রায় সাত লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাশ করেছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। পাশের হারের দিক থেকে কলকাতার থেকে এবারও এগিয়ে জেলা। পাশের হারে জেলাগুলির দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং তারপর রয়েছে কালিম্পং। পাশের হারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা।
এদিকে জেলার একাধিক স্কুলে তাক লাগানো নম্বর পেয়েছেন পড়ুয়ারা। এই যেমন রিফাত যে স্কুল থেকে মাধ্যমিক দিয়েছে, সেই মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির থেকে মেধাতালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান মিলিয়ে রয়েছে মোট পাঁচজন পড়ুয়া। রিফাত ছাড়া আরও চারজন পড়ুয়া রয়েছে মেধাতালিকার তৃতীয় স্থানে। উল্লেখ্য, এবারের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মোট ১৬টি জেলার ১১৮ জন পরীক্ষার্থী। যদিও কলকাতার কেউ নেই এবারের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায়।